সিনহার ভাই নরেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

সিনহার ভাই নরেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তদন্ত করবে দুদক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৫ অক্টোবর, ২০১৮

করতেন নৌপরিবহন অধিদফতরে চাকরি। বেতন ও সুযোগ-সুবিধা সীমিত। তা সত্ত্বেও রাজধানীর উত্তরায় ১০তলা বাড়ির মালিক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ তথ্য মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক টিম নরেন্দ্র কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মামলা তদন্তের প্রয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে হলেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

দুদক সূত্র জানায়, এস কে সিনহার সোনালি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকার বেশি স্থানান্তর (মানি লন্ডারিং) এবং ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় গতকাল নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় টিমের অপর সদস্য গুলশান আনোয়ার প্রধানও উপস্থিত ছিলেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন তারা।

এর আগে এস কে সিনহা পরিবারের সব সদস্যের অতীত ও বর্তমান জীবনযাত্রা সম্পর্কেও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুদক। সেই আলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজ নামে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে ১০তলা ভবনের একক মালিক বলে স্বীকার করেন। ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানান তিনি। তবে অনন্ত বাংলাদেশ থেকে কোনো অর্থ পাচার করেছেন মর্মে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে ৪ হাজার বর্গফুটের বাসাটি তিনি কত টাকা দিয়ে এবং কীভাবে কিনেছেন সেটিও তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র কুমার সিনহা।

এদিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা অনুসন্ধান করেছি। অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। আমরা সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।

‘তদন্ত প্রক্রিয়ায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু সিনহা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সে ক্ষেত্রে কীভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন বোধ করলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আইনে কোনো বাধানিষেধ নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads