সিটি নির্বাচনের পোস্টমর্টেম

সংগৃহীত ছবি

মুক্তমত

সিটি নির্বাচনের পোস্টমর্টেম

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

এবারের ভাষাশহীদের মাসের প্রথম দিনটি ছিল ভিন্ন রকম। ওইদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এর প্রতি দৃষ্টি ছিল সবার। দেশবাসী তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরাও মনোযোগী হয়ে উঠেছিলেন এই নির্বাচনের প্রতি। সব ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে লঙ্ঘন করে কেন তারা এ দেশের একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন, সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য ভোটের দিন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তারা কোনোরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষার প্রয়াস পেয়েছেন।

সে যা-ই হোক, এ নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে শঙ্কার যে মেঘ জমেছিল শেষ পর্যন্ত তা বৃষ্টি হয়ে নামেনি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, ভোট দেওয়ার পরিবেশ বজায় থাকবে কি না ইত্যাদি প্রশ্ন ছিল সবার মনে। তবে তিন সপ্তাহের প্রাণবন্ত প্রচারণায় জনমনে এ আশাও জেগে উঠেছিল যে, এবার তারা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন দেখতে পাবেন। কিন্তু নগরবাসী তথা দেশবাসীর সে প্রত্যাশা যে সর্বাংশে পূরণ হয়নি তা অস্বীকার করা যাবে না। ভোটের দিন সংঘটিত নানা ঘটনায় জনসাধারণের মনে পুঞ্জীভূত সংশয়ের অনেকখানি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, নির্বাচনটি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের অতীতে কোনো নির্বাচনই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি। প্রচরণাকালে দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া এবার বড় ধরনে কোনো অঘটন ঘটেনি। ভোটের দিনও বিচ্ছিন্ন যে দু’চারটি ঘটনা ঘটেছে, তাও তেমন গুরুতর ছিল না। সে হিসেবে ঢাকা সিটির এবারের নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলাটা অযৌক্তিক হবে না। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। পরাজিত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পরদিন হরতালও ডেকেছিল। যদিও ঢাকাবাসী তাদের সে হরতালে সাড়া দেয়নি।

এবারের নির্বাচনে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা আবারো প্রকটভাবেই দৃশ্যমান হয়েছে। দুই মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগ বা প্রচারাভিযানে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে, এবার হয়তো বিএনপি ভোটকেন্দ্রে শক্ত অবস্থান নেবে। তাদের মেয়র প্রার্থীগণ এবং শীর্ষনেতারাও বলেছিলেন, ভোটের দিন তারা কেন্দ্র পাহারা দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত অবস্থান করবেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল কার্যত বিএনপি নেতাকর্মী শূন্য। আমি নিজে খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, শান্তিবাগ, সিদ্ধেশ্বরী, নারিন্দা ও ধানমন্ডির প্রায় দশ-বারোটি কেন্দ্র ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও বিএনপির কোনো অবস্থান দেখতে পাইনি। একজন বুথ ফেরত ভোটার বলছিলেন, ‘বুথে আমার ভোট অন্য একজন দিয়ে দিল। এ অভিযোগ করার জন্য বিএনপির কাউকে পেলাম না।’ যদি ধরেও নেওয়া হয়, আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে, তাহলে তারা সে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করার সাহস পেল না কেন? লক্ষণীয় হলো, বিএনপি নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেসবের বিরুদ্ধে তারা ভোটকেন্দ্রে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে যায়নি। ক্ষুব্ধ একজন বিএনপি কর্মী বলছিলেন, ‘নেতারা মাসভর শোডাউন করে ভোটের দিন লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছেন।’ কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। কারণ, কোনো একটি ভোটকেন্দ্রে বিএনপির বড় কোনো নেতা অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন, এমন খবর পাওয়া যায়নি। দুষ্টলোকেরা অবশ্য বলছে যে, নির্বাচনে না জিতলেও বিএনপি তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পেরেছে। কেননা তারা আগেই বলেছিল, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সেটা প্রমাণ করার জন্যই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর সেজন্যই তারা কোথাও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ না করে অনিয়ম সংঘটনে সরকারি দলকে নীরব সহায়তা দিয়েছেন।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে ঢাকা সিটি নির্বাচনোত্তর আলোচনায় ভোটারের ‘আকাল’ নিয়েই এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে। এমন জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণার পর ‘পর্বতের মূষিক প্রসবে’র মতো এক-চতুর্থাংশ ভোটারের উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। কেউ হিসাব মেলাতে পারছেন না। কেন এমনটি ঘটল তার কারণ অনুসন্ধানে এখন ব্যস্ত সবাই। পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন ও টিভি টকশোতে বিষয়টি এখন এক নম্বর আলোচ্য বিষয়। নানাজন নানা মত ব্যক্ত করলেও একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, ভোটের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহে ভাটার টান চলছে। অন্তত পরপর কয়েকটি নির্বাচনে ন্যূনতম সংখ্যক ভোট পড়া সে কথাই বলছে। ভোটকে বাংলাদেশের মানুষ সব সময় উৎসবে পরিণত করে থাকে। ভোট দেওয়ার জন্য এ দেশের মানুষের শত শত মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার নজির নিকট অতীতেই রয়েছে। সেই মানুষেরা বাসস্থানের কয়েকশ গজ দূরের ভোটকেন্দ্রে কেন গেল না, তার কারণ খোঁজা অত্যন্ত জরুরি বলেই সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের এই মঙ্গা পরিস্থিতি রাজনীতি, গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাদির প্রতি মানুষের অনীহারই বহিঃপ্রকাশ। 

এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজনদের যেসব মন্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে তা থেকে কয়েকটি তুলে ধরা দরকার বলে মনে করছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে, সাধারণভাবে মনে হয়, মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ হয়তো মনে করছে, ভোটের ফল কী হবে তা তো জানাই আছে; ভোটে গিয়ে আর লাভ কী!’ সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের ভোটের প্রতি, ভোটের ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতার প্রকাশ ঘটেছে (কালের কণ্ঠ, ২ ফেব্রুয়ারি)।’ সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যা ঘটছে, তাতে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ। দিন দিন অনাস্থা তৈরি হচ্ছে ভোটারদের মধ্যে। এর ফলে নির্বাচন ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।’ রাজনীতি বিশ্লেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমান মন্তব্য করেছেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, ভোটে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে (আমাদের সময়, ৩ ফেব্রুয়ারি)।’ বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর। কিন্তু সামগ্রিক দৃষ্টিতে বলা যায়, তারা সমানভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারার কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’ সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা না থাকায়, বিগত নির্বাচনগুলোতে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না পাওয়ায় ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহী হচ্ছেন না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটের মালিক। তারা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহী না হন, জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৩ ফেব্রুয়ারি)। এছাড়া অনেকেই ইভিএমের প্রতি মানুষের আস্থা স্থাপিত না হওয়াকেও ভোটার উপস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাবের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমতসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোনো একটি বিশেষ কারণে ভোটের এ মন্বন্তর সৃষ্টি হয়নি। অনেকগুলো কারণ একত্রিত হয়ে এ সংকটের সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার,  সরকারিদল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য দলগুলো সমানভাবে এর জন্য দায়ী। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কোনো আস্থা নেই। বিভিন্ন সময়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের নানা ধরনের মন্তব্য ও কাজকর্ম, নির্বাচন পরিচালনয় লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করা এ অনাস্থার জন্ম দিয়েছে। কেননা, দেশবাসী দেখেছে এই কমিশন কোনো নির্বাচনেই নিজেদের নিরপেক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে পারেনি। আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও সিইসিকে বলতে শোনা গেছে, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে ভোটাররা আস্থা রাখেনি; যা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে। অন্যদিকে সরকারও নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। বরং সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের কথাবার্তায় ভোটারদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল। ‘ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি সারা দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের এনে ঢাকায় জড়ো করছে’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য নগরবাসীকে যথেষ্ট উৎকণ্ঠিত করে তুলেছিল। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারি দলের ভোটকেন্দ্র দখল করার পরিকল্পনার অভিযোগ এবং ‘ভোটের ফলাফল কী হবে আমরা জানি’- এ ধরনের বক্তব্য ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছিল। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে সাহসী ও ভোটদানে উৎসাহী করে তোলার পরিবর্তে তারা এমন সব কথা বলেছেন, যাতে নগরবাসী তথা ভোটারগণ আতঙ্কিত হয়ে ঘরে বসে থেকেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর এহেন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের নেতিবাচক প্রতিফলনই ঘটেছে ভোটের দিন। ভোটের আগে কাউকে ভোট দিতে যাবেন কি না জিজ্ঞেস করলেই জাবাব পাওয়া গেছে, ‘ভোট দিয়ে কী হবে? রেজাল্ট কী হবে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।’ ভোটদানের পরিবেশ নিয়ে জনমনে সৃষ্ট এ সংশয় নির্বাচন কমিশন, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন থেকে বারবার আহ্বান সত্ত্বেও ভোটাররা তাতে কর্ণপাত করেননি।

এদিকে পর্যবেক্ষক মহলে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে সরকারি দলের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট নিয়েও। সাধারণত সমগ্র দেশের ভোটারের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হিসাব করলে দেখা যায়, সমর্থকদের মাত্র পঁচিশ শতাংশ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থকদেরও ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। ভয়-ভীতির কারণে না হয় বিএনপি সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের জন্য তো সে সমস্যা ছিল না। তাহলে তারা কেন ভোট দিতে গেল না?

ঢাকা সিটি নির্বাচনে স্বল্প সংখ্যক ভোট পড়ার বিষয়টি রাজনীতি সচেতন মানুষদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এ ঘটনা তারই প্রমাণ। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, তা এদেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য শুভ হবে না। পহেলা ফেব্রুয়ারি সে অশুভ ইঙ্গিতই দিয়েছে।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads