সা’দ অনুসারীদের শাস্তি চান দেওবন্দরা

মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

সা’দ অনুসারীদের শাস্তি চান দেওবন্দরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলার জন্য মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের দায়ী করে তাদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সা’দবিরোধী হিসেবে পরিচিত দেওবন্দ গ্রুপ। আজ রোববার দুপুরে সা’দবিরোধী অংশের তাবলিগের শূরা ও হেফাজত নেতারা রাজধানীর পল্টনে তাবলিগ সাথী ও ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকেন সা’দবিরোধীরা। তাদের অবস্থান ও বিক্ষোভে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি তোলা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের নেতা ও জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মামুনুল হক। মিছিলে শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা হামলার ঘটনায় ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে দায়ী করেন। এ ছাড়া বিকালে মাওলানা সা’দ কান্ধলভীপন্থি মাওলানা ওয়াসিফ ও নাসিম গংদের বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট-গাবতলী রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মাওলানা সা’দ কান্ধলভীবিরোধীরা। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলাকারীদের মূলহোতা সৈয়দ ওয়াসিফ গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দিতে হবে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দেশের ওলামায়ে কেরামের জিম্মায় তুলে দিতে হবে।  

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, তাবলিগের জিম্মাদার মুফতি বশির, মুফতি ইলিয়াছ কাসেমী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল রনি মার্কেট, বড়গ্রাম ও আলীনগর প্রদক্ষিণ করে কামরাঙ্গীরচর থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের মাওলানা সা’দ কান্ধলভী অনুসারীরা ২০১৯ সালের ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্যদিকে সা’দবিরোধীদের একাংশ হেফাজতে ইসলামপন্থি কওমি আলেমদের নিয়ে এক সমাবেশে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে দুই পক্ষই পৃথক তারিখে জেলাভিত্তিক জোড় ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন।  

ইজতেমা নিয়ে এই পরস্পরবিরোধী অবস্থানকে কেন্দ্র করে গত শনিবার টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়। এ ঘটনা পর সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের কেউ অবস্থান করতে পারবে না এবং নির্বাচনের পরে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads