গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট পাখিশালা। বাহারি রঙ বেরঙের দেশি বিদেশি পাখির এক বিশাল সংগ্রহশালা হলো এ পাখির বেষ্টনীটি। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পার্কে বেড়াতে এসে সবচেয়ে বেশি বিনোদন খুঁজে পান পার্কের সাফারি কিংডমের ভিতরের এ পাখিদের মাঝে। তবে এবার ভিন্ন রকমের সুখবর আনল পাখিশালার বাসিন্দা সান কনিউর পাখি। কদিন আগে দুটো ডিম নিয়ে তাতে তা দিচ্ছিল পাখি দম্পত্তি। এবার একটি বাচ্চা ফোটেছে সেখানে। পার্কের পাখিশালায় এই প্রথম কোনো পাখি ছানার জন্ম হলো। করোনাকালিন বন্ধে নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে এ পাখির বাচ্চা পাওয়া গেল বলে ধারণা করছেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আরো কিছু পাখির জন্যও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে যেন ব্রিডিং করতে পারে।
সাফারি কিংডমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার) আনিসুর রহমান জানান, পাখিশালার এ বেষ্টনীতে আফ্রিকান গ্রে প্যারট,কাকাতুয়া,গাফিন,ভাষা প্যারট,ব্লুমেন প্যারট,রেড লরি,সান কনিউরসহ ২০/২২ প্রজাতির পাখির বসবাস। এ সব পাখি দর্শনাথীদের সামনেই ওড়াউড়ি করে বেড়ায়। আগত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের দর্শনাথীদের ভিন্ন রকম বিনোদন দেয় পাখিগুলো। পাশের বেষ্টনীতে রয়েছে নান্দনিক ম্যাকাউ পাখি। তিনি বলেন ৮/১০ দিন আগে সান কনিউর পাখির ছানাটি প্রাকৃতিকভাবেই ফুটে। দুটো ডিম দিয়েছিল এ দম্পত্তি। একটি ফোটে বাচ্চা বের হলেও অন্য ডিমটি নষ্ট মনে হচ্ছে। আমরা আরো কিছু পাখির ব্রিডিংয়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছি যা তাদের প্রজননে সুবিধা হবে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান জানান, আমরা আরো কিছু পাখির প্রজননের দিকে নজর দিচ্ছি। তাদের বসবাসের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কিছু বাসা তৈরি করে দিচ্ছি। এতে ওরা অবাধে প্রজননের সুযোগ পাবে। পার্ক করোনাকালীন বন্ধে একটু বেশি আয়েশি বিরক্তহীন মেজাজে রয়েছে পশুপাখিগুলো। তিনি আরো বলেন, আমরা ম্যাকাউ নিয়েও ভাবছি। ওদের প্রজননের জন্য পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পর্রামশ করছি। বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেই পাখিদের প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।