করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উত্তরণ না হওয়ায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জাতীয় কমিটির সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত সামারি আকাড়ে (সারাংশ) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ছুটি বাড়বে কি বাড়বে না সেটা জানি না। কারণ সাধারণ ছুটি বাড়ানোর এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে ছুটি বাড়ানো হচ্ছে কি না জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঙ্গলবার বলেন, ‘অবশ্যই! এখনও অফিস খুলে দেয়ার সময় আসেনি। এখন করোনার চূড়ান্ত সময় যাচ্ছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছুটি বর্ধিত বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। আগামীকাল (বুধবার) হয়তো নির্দেশনা আসতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার বর্ধিত ছুটি ঘোষণা হলে তাতে কিছু নতুন নির্দেশনা থাকতে পারে। তবে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বলা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর।
এদিকে, সাধারণ ছুটির মধ্যেই সীমিত আকারে খোলা রয়েছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি, নিত্যপণ্য ও ওষুধসহ জরুরি সেবাগুলো খোলা রয়েছে।
তৃতীয় দফা ছুটি ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা বলে হয়েছে।
করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে ৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় মঙ্গলবার এ সংখ্যা ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৪৩৪ জন শনাক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৮২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।