এগারোটি ফসলে উৎপাদন বাড়াতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। আজ রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হবে।
প্রণোদনা হিসেবে চলতি মৌসুমে কৃষকরা গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো, শীতকালীন মুগ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো, শীতকালীন মুগ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৬৪টি জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার মাধ্যমে এ ১২টি ফসল আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা, আবাদ এলাকা বৃদ্ধি ও ফসলগুলোর হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।’
কৃষিমন্ত্রী জানান, ৬৫ হাজার ৭০০ জন কৃষক গম বীজ, দুই লাখ ২১ হাজার ৫০০ জন ভুট্টা বীজ, দুই লাখ ১০ হাজার ২০০ জন সরিষা, ১০ হাজার ১০০ জন চিনাবাদাম, ১৮ হাজার জন গ্রীষ্মকালীন তিল, ৪৮ হাজার ৪০০ জন গ্রীষ্মকালীন মুগ, ২৪ হাজার ৩০০ জন শীতকালীন মুগ, ১৩ হাজার ৬০০ জন খেসারী, পাঁচ হাজার ৪০০ জন ফেলন, দুই হাজার ৭০ জন বিটি বেগুন এবং ৭১ হাজার ৭০০ জন কৃষক বোরো বীজ পাবেন।
তিনি জানান, এক বিঘা জমির জন্য গমের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি বীজ, ৫ কেজি ধান বীজ, ভুট্টার ক্ষেত্রে ২ কেজি বীজ ও সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ, গ্রীষ্মকালীন তিলের ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, গ্রীষ্মকালীন মুগের ক্ষেত্রে ৫ কেজি বীজ, খেসারীর ক্ষেত্রে ৮ কেজি বীজ, ফেলনের ক্ষেত্রে ৭ কেজি বীজ ও বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে ২০ গ্রাম বীজ দেওয়া হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
