নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই ফর্মে নেই সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে টুকটাক অবদান রাখলেও ব্যাট হাতে বিবর্ণ। সবমিলিয়ে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানও হারিয়েছেন তিনি। তাহলে কি সাকিবকে কেবল বোলার হিসেবেই দলে নেওয়া? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘সাকিবকে শুধু বোলার হিসেবে নেওয়ার দুঃসাহস আমার নেই।’
গত এক বছরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ৫৭৯ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২৫ উইকেট। অথচ মেহেদী হাসান মিরাজ ২৪ ম্যাচ খেলে ৬৬৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ৩১ উইকেট। গত এক বছরে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী ৩৯ ম্যাচ খেলে ৭৪১ রান এবং ২৮ উইকেট নিয়েছেন। র্যাঙ্কিংয়ের নিচে থাকা জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাও সাকিবের চেয়ে এগিয়ে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে গত বছর ৩১ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ ৮৪৩ রান। আর বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। বোঝাই যাচ্ছে, সময় যত গড়িয়েছে, সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সও তলানিতে ঠেকছে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগেও হতশ্রী পারফরম্যান্স অব্যহত ছিল। ৬ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তিনি (২৪ ও ৩৬)। সবমিলিয়ে রান ৭০, ব্যাটারদের তালিকায় ২৭ নম্বরে। বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে তবুও আছেন তালিকার ১৪ নম্বরে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগেও পারফরম্যান্স ভালো ছিল না তার।
চোখের সমস্যার কারণে সাকিব ব্যাটিং করতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাকে অলরাউন্ডার হিসেবেই নাকি শুধু বোলার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘আমাদের চিকিৎসা বিভাগ থেকে আমরা এমন কোনও বার্তা পাইনি, যেখানে চোখের সমস্যার কারণে তাকে দলভুক্ত করা যাবে না। বিশ্ব যেখানে তাকে সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবে স্বীকার করছে, আমিও সেই মতের সঙ্গেই আছি। গত ২৫ বছরের হিসাব করলেও সে থাকবে। (সাকিবকে) শুধু বোলার হিসেবে নিবো, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
বাংলাদেশ দল আজ সোমবার দুপুরে পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে। সাকিব দেশে না ফিরে কানাডা থেকে দুবাই হয়ে পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। দেশে সবাই টুকটাক টেস্টের প্রস্তুতি নিলেও তার সেই প্রস্তুতি ছিল না। সাকিবকে প্রস্তুতি ছাড়া সুযোগ দেওয়া নিয়ে লিপু বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’