সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জে বিজয়ী পাবনা পলিটেকনিক

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জে বিজয়ী পাবনা পলিটেকনিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগরের মতো দেশের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে ‘সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ‘ইরর স্কোয়াড বাংলাদেশ’ দল।

‘বি দ্য আলটিমেট সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট’ স্লোগানে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাইকৃত ৪০টি দলের মধ্যে বিজয়ী হয় ‘ইরর স্কোয়াড বাংলাদেশ’। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলো প্রিয়াল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ ও তাসদির আহমেদ।

অ্যাডভান্স টেকনোলজি বিডির আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছে ইউনাইটেড কলেজ অব অ্যাভিয়েশেন, সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (ইউসিএএসএম) দল মিনজুরুল ইসলাম, রাফিন হোসেন ও সাবিত শাফির দল ‘ফ্রগ হান্টার’। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) মেহেদি হাসান মিরাজ, আসাদুজ্জামান আসাদ ও সানজিদার দল ‘সাইবার নাটস’ এবং নারী দল হিসেবে বিজয়ী হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের দল ‘ইউএপি মিস্টিক্যাল৬’ দলের সামিয়া হক, আনিকা তাবাসসুম ও জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা।

গত শনিবার রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলের প্রত্যেকের হাতে ল্যাপটপ তুুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রথম রানার্স আপ দলের জন্য স্মার্টফোন এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট পিসিসহ ক্রেস্ট, রিভ অ্যান্টিভাইরাস এবং সনদপত্র দেওয়া হয়। বিজয়ী নারী দলকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া বিজয়ী দলগুলোর সদস্যরা দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করার সুযোগ পাবে।

সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সাইবার সিকিউরিটি একটি গুরুপূর্ণ বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের তরুণদের যোগ্যতা রয়েছে। আশা করছি এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটিতে আরো দক্ষ তরুণ কর্মী উঠে আসবে।

বেসিস সভাপতি আলমাস কবীর তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ব যত ডিজিটাল হবে সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব তত বাড়তে থাকবে। সাইবার সিকিউরিটিতে আমাদের দারুণ সুযোগ রয়েছে। আমাদের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন যেমন তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব হ্যাকারদের প্রসঙ্গ বললে রাশিয়া কিংবা চীনের কথা বলে, তেমনি সাইবার সিকিউরিটির কথা বললে যেন বাংলাদেশের কথা বলে। বাংলাদেশ যেন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের দেশ হিসেবে পরিচিত হয় এ লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবি সভাপতি এমএ হাকিম, ড্যাফোডিল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভুইয়া, ডলফিন কম্পিউটার্স লিমিটেডের মার্কেটিং ও অপারেশন্স পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম, পাঠাওয়ের হেড অব প্ল্যাটফর্ম এবং ডাটা ইঞ্জিনিয়ারিং সাফকাত আসিফ, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) বিপণন বিভাগের পরিচালক মুজাহিদ আলবিরুনী সুজন, সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক আবদুর রহমান শাওন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনের পর দেশের আরো আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম চলে। প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্বে সর্বোচ্চ তিন সদস্যের দল গঠনের মাধ্যমে দুই শতাধিক টিম নিবন্ধন করে। এরপর অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আয়োজনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাইকৃত ৪০টি দলের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত আয়োজনের দিন সকালে তিন ঘণ্টাব্যাপী ‘ওয়েব ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট’ বিষয়ে পরীক্ষা হয়। দেশের শীর্ষ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের ১০ জনের একটি দল বিচারকাজ মূল্যায়ন করে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ে প্যানেল ডিসকাশন।

এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্মার্ট টেকনোলজিস বিডির এজিএম ও সফটওয়্যার বিভাগের প্রধান মো. মিরশাদ হোসেন। আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির (বিডব্লিউআইটি) সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানা খান, আইপের হেড অব বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি মো. আবুল খায়ের চৌধুরী, রাইট টাইমসের প্রধান নির্বাহী ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তৌহিদূর রহমান ভূইয়া।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads