সাঁথিয়া পৌরসভার অর্থায়নে ৩ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ

সাঁথিয়া বোয়াইলমারী কবরস্থান হতে চোমরপুর-আমোষ-লক্ষ্মীপুর সড়ক নির্মাণ কাজের একাংশ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

সাঁথিয়া পৌরসভার অর্থায়নে ৩ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ

৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব

  • সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ, ২০১৯

পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার অর্থায়নে পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে বোয়াইলমারী কবরস্থান হতে আমোষ-চোমরপুর- লক্ষীপুর ভায়া আমোশ এ প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান করায় ৫টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হল। এতে করে কৃষি ফসল বাজারজাতকরণসহ চলাচলে সময় ও খরচ বাঁচবে অনেকাংশে। রাস্তাটি নির্মান হওয়াতে সুবিধা ভোগী গ্রামবাসী আনন্দে উৎফুলিত।

জানাযায়, উপজেলার বোয়ালমারী, লক্ষীপুর, চমরপুর, আমোষ ও ফেচুয়ান গ্রামবাসীর দ্রুত উপজেলা সদরে আসতে নিজেদের একটি সহজ রাস্তার প্রয়োজন বোধ করে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। গত ২০১৮ইং সালে ওই গ্রাম গুলোর সচেতন মহল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কৃষি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। চলতি বছরের প্রথম থেকেই পৌর সদরের বোয়ালমারী কবরস্থান থেকে চমরপুর ভায়া আমোষ- লক্ষীপুর, ফেঁচুয়ান, পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভার অর্থায়নে কাজ শুরু করেন সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম। নির্মিত এ রাস্তার অভাবে লক্ষীপুর, চমরপুর, আমোষ ও ফেচুয়ান গ্রামবাসীকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে সাঁথিয়া সদরে আসতে হতো। বোয়ালমারী গ্রামবাসীকে ঐ চার গ্রামে যেতে একই রকম দুর্ভোগ পোহাতে হত। তিন কিলোমিটার ব্যাপী রাস্তাটির দুই পাশ্বে রয়েছে কৃষি জমি। রাস্তার অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে কৃষকরা নিজেদের জমির ফসল দ্রুত সময়ে ঘরে ও বাজারজাতকরণ করতে পারত না। এতে কাঁচা ফসল নষ্ট হত ও কৃষি ফসল পরিবহনে অধিক খরচ গুণতে হতো।

সরেজমিন বোয়ালমারী - চমরপুর রাস্তার নির্মান কাজ দেখতে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল বোয়ালমারী কবরস্থান থেকে মাঠের মধ্যে দিয়ে ওইসব গ্রামগুলোতে যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তার। অনেকদিন পরে হলেও তা বাস্তবায়নে খুশি এলাকার মানুষ। আমোষ গ্রামের আনোয়ার ও রইজ মোল্লা জানান, এ রাস্তাটি হওয়াতে আমরা সহজেই মাঠ থেকে কৃষি ফসল ঘরে নিতে পারবো। পৌরসভাসহ হাটবাজারে যেতে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। এতে আমরা গ্রামবাসী খুশি।

চমরপুর গ্রামের কামরুজ্জামান সেলিম, শামসুল আলম, লক্ষীপুরের মমিন ও বোয়ালমারী গ্রামের মনছুর রহমান জানান, এ রাস্তাটি ছিল মানুষের প্রাণের দাবি। রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগী হবে কৃষকেরা। যা ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে। সাঁথিয়া পৌর সভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, “গ্রাম হবে শহর” বর্তমান সরকারের এ স্লোগানকে সামনে রেখে পৌরসভার অর্থায়নে এ রাস্তাটি নির্মান করছি। এতে ৫টি গ্রামের ২০/২৫ হাজার মানুষ সুবিধাভোগী হবে। তারা সহজে পৌরসভাসহ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এলাকাবাসীদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করছি রাস্তা নির্মাণে। সরকারী সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে রাস্তাটি পাকাকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads