এক দিকে সমুদ্র আর অন্যদিকে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া। মাঝখানে বিদ্যমান দুটি উপজেলা শহর উখিয়া ও টেকনাফ নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। এ আসনে বিভিন্ন দলের ৪ জন প্রার্থী প্রচার চালিয়ে গেলেও মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে ধানের শীর্ষ ও নৌকা প্রতিকের মধ্যে।
অতি উৎসাহী কর্মীদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও কোনো সহিংস ঘটনা ছাড়াই চলছে বড় দু দলের নির্বাচনী প্রচার। আর ভোটাররা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে ৩০ ডিসেম্বর তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য।
নির্বাচনী অফিস সূত্রে জানা যায়, উখিয়া উপজেলায় রয়েছে ৪৫টি ভোট কেন্দ্র। এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২০হাজার ৩৩৮জন। ৫৫ টি ভোট কেন্দ্র বিশিষ্ট নির্বাচনী এলাকা টেকনাফের ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৬ জন।
এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী জানান, তিনি একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। কৌশলী প্রচারের অংশ হিসাবে ২০ দলীয় জোট তথা বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পথ সভা, মিটিং মিছিল, সভা সমাবেশ বাদ দিয়ে তারা যেন ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে কোনো ধরনের বাকবিতণ্ডা, তর্ক-বিতর্ক, মারামারি হোক এটা তিনি মোটেই পছন্দ করেন না। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
টেকনাফের পুত্রবধু হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিন চৌধুরী উখিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের প্রতিষ্টাতা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে। কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরীর ছোট বোন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বড় বোন। বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর ভাতিজি। সর্বশেষ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ছেনোয়ারা বেগমের ভাতিজি। সে হিসাবে নির্বাচনী এলাকা উখিয়া টেকনাফে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে শাহিন চৌধুরীর সমর্থক নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ মিটিং মিছিল নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সরব।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের মার্কা নৌকা প্রতীকে বিজয় হয়ে এর আগে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দিনবদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে। এবারের নির্বাচনে নেত্রী ঘোষাণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সব গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। আগামী ৫ বছরে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে সরকার।