সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়

সংগৃহীত ছবি

মুক্তমত

সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়

  • মামুন রশীদ
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল, ২০২১

২৮ এপ্রিল ২০২০, অন্যান্য দিনের থেকে আলাদা নয়। স্বাভাবিক নিয়মেই দিনের শুরু। কর্মব্যস্ততারও শুরু। তবে তার সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে নয়। কারণ, বর্ণিত তারিখ থেকে দেড় মাসেরও বেশি সময় আগে দেশে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। একমাসের একটু বেশি সময়ের আগেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে একজনের মৃত্যুর খবর প্রচার হয়েছে। সংক্রমণ যেন না বাড়ে, সেজন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়। অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া অফিস, আদালত, শপিংমল, গণপরিবহন বন্ধ। এপ্রিলের শুরু থেকেই আতঙ্কিত সময়। পথগুলো সুনশান, অধিকাংশই ফাঁকা। কোথাও কোথাও কাঁচাবাজার বসছে, তাতেও ভয়ের ছাপ। যারা বাইরে বেরুচ্ছে, মুখে মাস্ক, হাতে গ্লোভস, কারো কারো শরীরে জড়ানো পিপি। প্রচণ্ড গরমে, খোলা জায়গায় সাধারণের শরীরে পিপি যে কতটা আতঙ্ক থেকে গায়ে জড়ানো ভুক্তভোগীই শুধু তা জানেন। দিনের বেলা ভয় উপেক্ষা করে, অভাবী মানুষেরও দেখা মেলে। কিন্তু সে সংখ্যাও খুব কম। ঘরের বাইরে বেরুলেই মনে হয়, এই বুঝি রূপকথার দৈত্যের মতো ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে করোনা। এই বুঝি টুঁটি চেপে বসে। কর্মক্ষেত্রেও কাউকে বিশ্বাস হয় না। প্রত্যেককেই মনে হয় করোনার বাহক। একটির জায়গায় মুখে দুটি মাস্ক। সেসব আতঙ্কের দিনগুলোরই একটি ২৮ এপ্রিল ২০২০।

এদিন পৃথিবীকে বিদায় জানালেন খোকন ভাই। হুমায়ুন কবীর খোকন, আমাদের খোকন ভাই। করোনার থাবায় হারানো প্রথম সাংবাদিক। সে এক বীভৎস সময়। করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। অজানা অচেনা ভয়ানক সংক্রমিত রোগ মনের ভেতরে ভীতির সঙ্গে চাপও তৈরি করেছে। সরকার সাধারণ ছুটির সুবাদে মানুষ ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পেশার কর্মী হিসেবে আমাদের ঘরে থাকার সুযোগ নেই। আমরা কাজ না করলে মানুষ খবর পাবেন কী করে, মানুষ সচেতন হবেন কী করে? মানুষ তার প্রয়োজন জানাবে কী করে, সরকারের নির্দেশনা সাধারণের কাছে পৌঁছবে কী করে? ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংবাদকর্মীরাও ফ্রন্ট লাইনে। ঘরে, দূরে-কাছে স্বজনদের শঙ্কা উপেক্ষা করে প্রত্যেক সংবাদকর্মীই কর্মস্থলে উপস্থিত দায়িত্ববোধ থেকে। মানুষকে জানাতে হবে, তাদেরকে সতর্ক করতে হবে, সচেতন করতে হবে, কোথায় গেলে কীভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষ সাহায্য পাবে, দুনিয়ার সকল খবরের সঙ্গে ভীষণ দরকারি সেই তথ্যও পরিবেশনের দায়িত্ব সংবাদকর্মীদের কাঁধে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা উপস্থিত হতাম কর্মক্ষেত্রে। পাশাপাশি বসার সুবাদে, অনেক কথাই হতো। কদিন থেকেই ভুগছিলেন দাঁতের ব্যথায়। অফিসে বারবার গরম পানি দিয়ে কুলি করছিলেন। ডাক্তার দেখান না কেন? প্রশ্নের জবাবে- বলেছিলেন, এ সময়ে ডাক্তার কোথায়? জরুরি চিকিৎসা সেবাই পাওয়া কঠিন। সেখানে দাঁতের ডাক্তার কই পাবো? কদিন যাক, চিকিৎসকরা নিজম্ব চেম্বারে বসুন, দেখাবো। একটু খুক খুক কাশিও, আমি আতঙ্ক দেখিয়ে বলি, ভাই করোনা না তো? হেসে মুখে এগিয়ে এনে কপট কাশি দিতে শুরু করেন। আমিও হেসে পিছিয়ে যাই। কাজের ব্যস্ততা আর আতঙ্কে কখন সময় গড়িয়ে যায়, এত আন্তরিকতার পরেও পাশের জনও যে কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকছে তাও টের পাই না। এরপর হঠাৎ এক সন্ধ্যায়- এক শুভার্থী সুহূদের ফোন কল, ভাই আপনি কোথায়? জানাই অফিসে। অপরপ্রান্ত থেকে তৎক্ষণাৎ কর্মস্থলের বাইরে যাওয়ার নির্দেশ। স্নেহের সুহূদ। নির্দেশ দেওয়ার সম্পর্ক নয়। কিন্তু আতঙ্ক তার কণ্ঠও পাল্টে দিয়েছে, তার কাছেই জানি খোকন ভাই হাসপাতালে। শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে। তখনো আমার নির্ধারিত কাজ শেষ হয়নি। অত্যাবশ্যকীয় পেশায় নিজের কাজ সম্পন্ন না করে কর্মস্থল ত্যাগের সুযোগ কম। এরপর মাঝে কিছুক্ষণ পরপর সেই শুভার্থীর ফোনকল। রাত আনুমানিক সাড়ে নটার একটু পরে আবার ফোনকল। জানলাম, সব শেষ।

হুমায়ুন কবির খোকন, খোকন ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় দীর্ঘদিনের। তবে তা ছিল দূর থেকেই, কালেভদ্রে দেখাসাক্ষাৎ হলে, কেমন আছেন এটুকুই। সেই সম্পর্কই আন্তরিক হয়ে উঠেছিল একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে। ২০১৯-এ আগের কর্মস্থলের মায়া ত্যাগ করে নতুন দৈনিকে যোগ দিয়ে সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলাম। একসঙ্গে কাজের সুযোগ হয়। পাশাপাশি বসার জায়গা, স্বাভাবিকভাবেই দেখা-কথাও হতো বেশি। আন্তরিকতা গড়ে উঠতেও সময় লাগেনি। মিশুক মানুষ খোকন ভাই, খুব দ্রুতই কাছের হয়ে ওঠা খোকন ভাই সাংবাদিকতার বাইরে লেখালেখির সুবাদে আগের টুকটাক কথাবার্তার দেয়াল পেরিয়ে আন্তরিকতার সেতু গড়ে তোলেন। সেই সেতু ভেঙে যায় গত বছরের আঠাশে এপ্রিল। পেরিয়ে গেছে এক বছর। মৃত্যুর কিছু সময় আগে, করোনা পরীক্ষার জন্য তার নাকের সোয়াপ সংগ্রহ করা হয়, যার রিপোর্ট পাওয়া যায়, তার মৃত্যুর পর। যা নিশ্চিত করে করোনাই তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে কাজের সুবাদে প্রতিদিন অংসখ্য মানুষের মৃত্যুর খবর, করোনার ছোবলে হারিয়ে ফেলা মানুষের কথা জানতে হয়, জানাতে হয়। তবে করোনায় খোকন ভাই-ই আমার প্রথম স্বজন হারানো। করোনার ছোবলে হারিয়ে যাওয়া আমার প্রথম কাছের মানুষ। এরপর পরবর্তী কয়েকটি সপ্তাহ শোকের চেয়ে যে আতঙ্ক ও বীভৎসতায় কেটেছে বর্তমান লেখার বিষয় তা নয়। বরং এখানে সম্ভাব্য সংকট প্রসঙ্গেই কয়েকটি কথা বলার ইচ্ছে।

২. আমরা আজ মোকাবিলা করছি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। গতবার আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে করোনার ইতালিয়ান ভ্যারিয়েন্ট। এবারের ঝড় যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের জন্য। তবে তারচেয়েও বড় আতঙ্ক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।  ইতোমধ্যে ভারতে শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যার ভয়াবহতা ইতোমধ্যে সকলকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তার কিছুটা অনুধাবন করা যায়, সংবাদপত্রে ডিরেক্টরেট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি, এনসিটি সরকার, দিল্লি কর্তৃক প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন থেকে। বিজ্ঞাপনে বলা কথাগুলো উদ্ধৃত করছি, ‘দিল্লি সরকার অক্সিজেন পরিবহনের জন্য ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কার চাইছে। দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাব পড়েছে। যদি আপনার অথবা আপনার সংগঠনের ট্যাঙ্কারসহ অক্সিজেন থাকে, তাহলে দিল্লি সরকারকে সাহায্য করুন। এমনকি যদি আপনার অক্সিজেন পরিবহনের জন্য খালি ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কার থাকে, তাহলে আপনি আমাদের জানান। এটা আমাদের অন্যান্য স্থান থেকে অক্সিজেন সংগ্রহে সাহায্য করবে। এটি একটি এসওএস আবেদন। দিল্লি সরকার আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। আপনাদের সহায়তা আপনাদের হাজার হাজার ভাই ও বোনের আরো ভালো চিকিৎসায় সাহায্য করবে।’

কতখানি অসহায়ত্বের মুখে, কতটা বিপর্যয়ের মুখে একটি  সরকারকে এভাবে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সহায়তা চাইতে হয়, পরিস্থিতি নিজের চোখে না দেখলেও বিজ্ঞাপনের ভাষাই আমাদের সেই মর্মান্তিক অবস্থা সম্পর্কে জানায়। প্রথম দফা করোনার ঢেউ মোকাবিলায় ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হিমশিম খেয়েছে। অসংখ্য মানুষকে হারিয়েছে তারা। স্বজন হারানোর সেই বেদনা, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছে থেকে আপ্রাণ চেষ্টার খবরগুলো আমরা ভুলে যাইনি। আজ আমাদের ঘরের পাশেই সেই অবস্থার তৈরি হয়েছে। সেই বিপর্যয় বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে মানুষের সাজানো বাগান। এক্ষেত্রে দিল্লি দূর হন্ত বলে আমাদের হাত গুটিয়ে রাখার অবকাশ নেই। সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেই ভারতের সঙ্গে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্ত পারাপার বন্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে পালন হলে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশের শঙ্কা অনেকটাই কমবে। ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনটির ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। এ অবস্থায় কোনোভাবেই ভারতীয় ধরনটি আমাদের এখানে ছড়িয়ে পড়লে তার সংক্রমণ গতিও যে তীব্র হবে, সে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাই সীমান্ত বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা যেন কারো গাফলিতে ধুলায় না লুটায় সেদিকটিও নিশ্চিত করতে হবে। যারা এর মাঝে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। যারা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে, আশার কথা তাদের অনেকেরই খোঁজ মিলেছে। পালিয়ে যাওয়া সীমান্ত পেরুনো পালিয়ে থাকার সময়ে যাদের সংস্পর্শে এসেছে, খুব দ্রুত তাদেরও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া এখন জরুরি। সেইসঙ্গে মানুষকে এটাও বোঝানো জরুরি যে, কোয়ারেন্টাইন মানে জেলখানার জীবন না, কোয়ারেন্টাইন শুধু তাকেই নিরাপদ করবে না, একইসঙ্গে তার পরিবার, স্বজন এবং দেশকেও নিরাপদ রাখবে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, ভারতের দিল্লিসহ অনেক স্থানেই শ্মশানগুলোতে মৃতদেহ পোড়ানোর জায়গা না হওয়া, কবরস্থানে জায়গা না থাকাসহ মৃতদেহ সৎকারের জন্য দীর্ঘ সারির কথা জানা যাচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে অনেক করুণ মৃত্যু ও কষ্টের খবরও আমাদের পড়তে হয়েছে, হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদেরও অক্সিজেনের মজুত বাড়ানোসহ দ্রুত অক্সিজেন উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনে মনোযোগী হতে হবে। আমাদের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বছরজুড়েই ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করতে হয়। কারণ দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেন লাগে, আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা তার চেয়ে কম। বর্তমান সংকটময় সময়ে ভারত অক্সিজেন রপ্তানি স্থগিত করেছে। এ অবস্থায় আগামীতে আমাদেরও যদি অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়, তা মোকাবিলার এখনই পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুধু সংকট মোকাবিলাই নয়, বাড়বে আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুত। এবং এটি সাধারণের দোরগোড়ায় সরকারের চিকিৎসাসেবা নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নেও বড় সহায়ক হয়ে উঠবে।

৩. মৃত্যু একটি সংখ্যা, স্লোগানটি প্রায়ই আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বিভিন্ন জনের দেয়ালে ভাসতে দেখি। মহামারীতে মৃত্যু একটি পরিসংখ্যান। করোনায় এক বছরে আমরা হারিয়েছি দশ হাজারের অধিক মানুষ। মৃত্যু অবধারিত। আমরা কেউই এই অলঙ্ঘনীয় বিধান এড়াতে পারব না। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু, পরিণত বয়সে মৃত্যুই সবার কাম্য। যে কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যু একটি সংখ্যা হিসেবেই চিহ্নিত। স্বজন হারানোর বেদনা শুধু যার হারিয়েছে, যে পরিবারের ওপর দিয়ে গিয়েছে তারাই জানেন। চিরসুখী জন কখনো ব্যথিতের বেদনা বুঝতে পারে না। তা শুধু ভুক্তভোগীই জানেন। আমাদের প্রেক্ষাপটে জোর করে মানুষকে ঘরে বন্দি রাখা সম্ভব নয়। সবার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ঘরে থাকতে বাধ্য করাও যায় না। তাই অন্যান্য দেশের লকডাউনের সঙ্গে আমাদের ফারাক অনেক। করোনার থাবায় ইতোমধ্যে আমাদের কয়েক কোটি মানুষ তাদের অবস্থান হারিয়েছেন। দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছে। তারা চাইলেও ঘরে থাকতে পারবে না। কারণ জীবন বাঁচানোর সঙ্গে তাদের জীবিকারও সংস্থানে নামতে হচ্ছে। তবে সমাজের এই অংশের সঙ্গে আরো একটি পার্থক্য ফুটে উঠেছে। সরকার দোকানপাট সীমিত সময়ের জন্য খুলে দেবার সিদ্ধান্তে আমরা যেভাবে কাপড় কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম, তা কোনো শুভ ইঙ্গিত বহন করে না। মানুষের খাদ্য চাহিদার তুলনায় কাপড়ের চাহিদা গৌণ। কিন্তু তার উল্টোটাই এখন দৃশ্যমান। যখন মানুষ খাবারের সন্ধানে জীবন হাতে নিয়ে বাইরে আসছে, তার বিপরীতে আমরা কি করে বিপণিবিতানে হুমড়ি খেয়ে পড়ি? আমাদের হাতে কত টাকা? কোনটি আমাদের জন্য জরুরি? এসব প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। সবকিছুর পরেও সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড় প্রবাদটি মনে রেখে আমাদের নিজ উদ্যোগেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

লেখক : কবি, সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads