সবার সদিচ্ছা চাইলেন শেখ হাসিনা

আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক ডিফেন্স প্রদর্শনী ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ন

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

জলবায়ু পরিবর্তন

সবার সদিচ্ছা চাইলেন শেখ হাসিনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে কাজ করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদার। এ বৈঠক নিয়ে পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আইসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ছে।

খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে কাজ করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনা এবং অর্থায়ন রয়েছে। আমাদের এখন কেবল প্রয়োজন সমাজের সর্বত্র ধনিক শ্রেণির সদিচ্ছা, আগ্রহ ও প্রচেষ্টা।

গত শনিবার রাতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে পোস্টডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট পরিচালক হানস জোয়াসিম সভাপতিত্ব করেন। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব কেনিয়া মনিকা জুমা, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনি ইরিকসন সরিডি, ইউএস সিনেটর সেলডন, হোয়াইট হাউজ অ্যান্ড  কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনাল বুন্নি ম্যাকডিয়ারমিড প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। ডয়চে ভেলের চিফ পলিটিক্যাল করসপন্ডেন্ট বার্লিন ম্যালিন্ডা ক্রেনি রোর্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অব্যাহত উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জন্য সত্যিকার এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে সাইক্লোন, ঝড় জলোচ্ছ্বাস এবং মৌসুমি বন্যা মানুষের জীবন জীবিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি এ বিষয় কারো কোনো সন্দেহ থাকে, তাদের আমি বাংলাদেশে এসে প্রকৃত অবস্থা দেখে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ২০১২ সালে ইউএনজিএ সিদ্ধান্তের বিষয় পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের আরো অনেক হুমকির কারণে লাখ লাখ মানুষ পৈতৃক ভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে, নদীভাঙন, লবণাক্ত পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মিশ্রণের কারণে এসব ঘটছে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানিতে অ্যাসিডিটি বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা সামান্যই।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কারণে অনেক পরিবার রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়ছে এবং হাজার হাজার একর কৃষিজমি হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতে অনিয়ম এবং অতিবৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কৃষকের জন্য চাষাবাদ কঠিন হয়ে পড়েছে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নতুন নতুন রোগ-ব্যাধি বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে ম্যালেরিয়া সফলভাবে নির্মূল করা হলেও সেটি আবার ফিরে আসার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, একই ধরনের রোগ-ব্যাধি বাড়ছে খাদ্যশস্য, পশুসম্পদ ও পোল্ট্রি সেক্টরেও। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সবজি উৎপাদনে পঞ্চম এবং হর্টিকালচারে শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্বের কাছে জাদুকরী পরিবেশবান্ধব পাটের আঁশ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজস্ব উদ্যোগে বৈরি অবস্থায় টিকে থাকার উপযোগী শস্যের জাত উদ্ভাবন করেছি। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তার সরকার নিজস্ব সম্পদ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠন করেছে এবং অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু আমরা এখন বড় ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি : আমাদের অর্জিত অগ্রগতি ধরে রাখতে পারব কি না? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও অন্য অনেক দেশেরই জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত এক দশক ধরে তিনি কোপেনহেগেন, নিউইয়র্ক, কিউবা ও ইসা-শিমার বৈশ্বিক আলোচনায় তিনি বিশ্ব নেতাদের কাছে বার বার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বৈশ্বিক ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং খুঁজে পেয়েছে যে, অভিযোজন ও প্রশমনে ব্যর্থতা, পানি সঙ্কট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে ।

ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক দশককে ১৫০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম দশক বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে। অতএব অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা ও মানবীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মূলে যে পরিবেশ সঙ্কট প্রধান ও একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা প্রশ্নাতীত। তিনি জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য জীবনযাত্রা, আচরণ, পদ্ধতি ও অর্থনীতিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

আইসিসিতে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ছে : মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদার। পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আইসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত আইসিসির বিভিন্ন কমিটির সদস্য। এটা একটা নতুন এলাকা, যেখানে খুব স্ট্রংলি আমরা ইনভলভড হচ্ছি। আগে খুব একটা ইনভলভমেন্ট আমাদের ছিল না।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে আইসিসি। আগামী মার্চের শুরুতেই তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে আইসিসি প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিসি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

আইসিসি প্রতিনিধিদলকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া এদিন পটুয়াখালীর পায়রায় ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে জার্মানির সিমেন্স এজির সঙ্গে ইনিশিয়াল চুক্তি করেছে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। মিউনিখে হোটেল শেরাটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। পরে জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যান্স উল্ফগাং কুনজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ করছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র নিবারণ প্রচারণা কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক নোবেল পদকজয়ী বিয়াত্রিস ফিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরমাণু অস্ত্র বন্ধ করার উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করায় তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে তিনি ১৯৭৪ সালে দক্ষিণ এশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের ওখানে যে অ্যাট্রোসিটি ক্রাইম হয়েছে, সেটা স্টাবলিশ করার জন্য তারা এখন কেস প্রসিডিং শুরু করেছে। তার আগে এটার এভিডেন্স কালেক্ট করতে হয়। সেটার স্টেপ হিসেবে তারা মার্চের প্রথমদিকে বাংলাদেশ ভিজিট করবে।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ টিমকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং এর চলমান বিচারের কথাও বেনসুদাকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। গামবিয়ার নাগরিক ও আন্তর্জাতিক আইনজীবী ফাতু বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন। উনি খুব মর্মাহত এবং উনি মনে করেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উনি (ফাতু) প্রধানমন্ত্রীকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট ভিজিটের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উনি বলেন, ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম টু কাম অ্যান্ড ভিজিট। স্পিক টু জাজেস অ্যানি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি অবশ্যই আসব। প্রধানমন্ত্রীও বেনসুদাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তুললেন। তিনি (ফাতু) সহমর্মিতা জানালেন, আলোচনা করলেন। তিনি জানান, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের সম্মুখীন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসব তথ্য জানানোর সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সেখানে ছিলেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি : শেখ হাসিনা মিউনিখে হোটেল শেরাটনে অবস্থান করেন। সেখানে সিমেন্স এজির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কাইজার সাক্ষাৎ করতে আসেন তার সঙ্গে। এ সময় পায়রায় ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সিমেন্স এজির সঙ্গে চুক্তি করে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আমদানি করা এলএনজিনির্ভর এ প্রকল্পই হবে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে সিমেন্স এজির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার। ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এ প্রকল্পের ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন আসবে ঋণ থেকে। বাকি ৪০০ মিলিয়ন ডলার থাকবে ইকুইটি হিসেবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং গ্যাস আমদানির বিষয়ে ইনিশিয়াল চুক্তিটি হয়েছে। ৩৬০০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াটের মোট তিনটি ইউনিট থাকবে। আমদানি করা এলএনজি এ কেন্দ্রে কীভাবে আনা হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট : পরে ভেরিডোস জিএমবিএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যান্স উল্ফগাং কুনজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উনারা এখন যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে আশা করা যায় ২০১৯ সালের জুন মাসে উনারা প্রথম পাসপোর্ট হ্যান্ডওভার করবেন। এই পাসপোর্ট প্রযুক্তিগতভাবে এত অগ্রগামী হবে যে, দুটো দেশে এই পাসপোর্ট থাকবে, জার্মানি ও বাংলাদেশে।’ এ ছাড়া ভেরিডোস বাংলাদেশের ডেটা নিরাপত্তা এবং অন্যান্য খাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার জার্মানি সফরের সময় বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ সাড়ে চারশ’ নীতিনির্ধারক, চিন্তাবিদ, ব্যবসায়ীসহ সমাজের অগ্রগামী শ্রেণীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুরু হয় ৫৫তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads