সবাই ব্যস্ত ভোটের মাঠে মাশরাফি খেলায়

বামের উপরের সারি থেকে মাশরাফি, ফারুক, মমতাজ, সালাম মুর্শেদী, সোহেল রানা, কনকচাঁপা

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

নির্বাচনে সেলিব্রিটিরা

সবাই ব্যস্ত ভোটের মাঠে মাশরাফি খেলায়

  • সোহেল অটল
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ১৯ দিন। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। দল ও রাজনৈতিক জোট থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত সব প্রার্থীই প্রস্তুত ভোটের মাঠে নেমে পড়ার জন্য। চলচ্চিত্র, সিনেমা, সঙ্গীতাঙ্গন ও ক্রীড়াঙ্গনের নন্দিত ও খ্যাতিমান অনেকে একই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদেরও প্রস্তুতি ভোটের মাঠে নেমে নানা স্বপ্ন দেখিয়ে ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার। তারা এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণার আগের ক্ষণে অন্য সব প্রার্থীর যেমন প্রস্তুতি, ঠিক তেমনটি নেই ক্রিকেটের বরপুত্র মাশরাফি বিন মুর্তজার। তিনিও এবারের নির্বাচনে নড়াইল-২ (সদর ও লোহাগড়া) আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী। জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন খেলার মাঠে। তিনি নড়াইলে নেই। তাতে কী? তার শত শত কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী দিনরাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। মাশরাফির হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন তারা।

আওয়ামী লীগ থেকে এবার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়ছেন সাবেক ফুটবল তারকা আবদুস সালাম মুর্শেদী, চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বিএনপি থেকে কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা আর জাতীয় পার্টি থেকে প্রযোজক ও চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা এবার প্রার্থী।

চিত্রনায়ক ফারুক গাজীপুর-৫ আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। কিন্তু দল থেকে তাকে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে। তাতে অবশ্য ফারুক অসন্তুষ্ট নন। বরং দ্বিগুণ উৎসাহে নির্বাচনী প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

ফারুক বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। নৌকার প্রতি আমার রয়েছে অবিচল আস্থা। দল দেশের যেখানেই নির্বাচন করতে বলুক, আমি আত্মবিশ্বাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় নেমে পড়েছেন ঢাকাই ছবির প্রভাবশালী এই অভিনয়শিল্পী। রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯, ২০ ও ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। প্রায় প্রতিদিনই গণসংযোগে তাকে দেখা যাচ্ছে। এই সংসদীয় আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। শোনা যাচ্ছে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদও এখান থেকে নির্বাচন করবেন।

কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-১-এ প্রচারণায় ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি সিরাজগঞ্জে নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গতকাল বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে আলাপকালে কনকচাঁপা জানান, আজ সোমবার থেকে নিয়মিত সিরাজগঞ্জে গণসংযোগ করবেন তিনি। সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা নিয়ে এই সংসদীয় আসনটি গঠিত।

কনকচাঁপা বলেন, নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করব। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকারও অঙ্গীকার করছি। মূলত মানুষের জন্য কিছু করার তাড়নাতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে কনকচাঁপাকে লড়তে হবে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী মো. নাসিমের বিরুদ্ধে।

বরিশাল-২ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনায়ক সোহেল রানা। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা বরাবরই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর। তাদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের তথা দেশের সেবা করার মাধ্যমে প্রতিদান দিতে চাই।

নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তার প্রচারণা শুরু করেছেন মাসুদ পারভেজ। বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা নিয়ে এই সংসদীয় আসনটি গঠিত। এখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টিকেট নিয়ে নির্বাচন করছেন বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ। মহাজোট থেকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের শাহে আলম।

নীলফামারী-২ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, খুলনা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া সালাম মুর্শেদী ও মানিকগঞ্জ-২ থেকে মনোনয়ন পাওয়া কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-১ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নাইমুর রহমান দুর্জয়ও ব্যস্ত ভোটের মাঠে। তারা চারজনই এলাকায় জনপ্রিয় প্রার্থী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads