সবজি দেখতে মাঠে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা

ক্যান্সার প্রতিরোধক সবজি ব্রোকলি ক্ষেত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

ক্যান্সার প্রতিরোধক ব্রোকলি

সবজি দেখতে মাঠে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এই প্রথমবারের মত মাঠে চাষ হল ক্যান্সার প্রতিরোধক সবজি ব্রোকলি। এতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রথমবারের মত চাষ হওয়া ইউরোপিয়ান লিভিয়া জাতের এ সবজি দেখতে মাঠে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামের কৃষক মলিন্ড বিশ্বাস ১৫ শতক জমিতে শীতকালীন এ সবজি চাষ করেন। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ ভালো। তবে প্রচুর পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বে এ সবজিতে এখনও এলাকার মানুষ অভ্যস্ত না হওয়ায় বাজারজাতকরণে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

ব্রোকলির পুষ্টিগুণ প্রচুর। গবেষকরা ব্রোকলিকে বলছেন, ‘আলটিমেট ক্যানসার ফুড’। রোজ ব্রোকলি খেলে ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। ব্রোকলি ক্যানসার প্রতিরোধক এটি এখন বাস্তবতা। ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফোলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও ফাইবারে পরিপূর্ণ ব্রোকলি। ব্রোকলির মধ্যে রয়েছে সালফরফেন, যা ক্যানসার রুখতে কার্যকরী। লো ক্যালরির এই সবজি হার্টের জন্য উপকারী ।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামে গেলে দেখা যায় কৃষক মলিন্ড বিশ্বাসের ব্রোকলির চাষ, সব গাছেই ফল এসেছে। ব্রোকলি আকারে ফুলকপির মত হলেও ফুলগুলো সাদার পরিবর্তে পাতার রঙের মত গাঢ় সবুজ। কৃষক মলিন্ড বিশ্বাস জানান, তিনি মূলত সবজিচাষি । চলতি শীত মৌসুমে উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহায়তায় বীজ সংগ্রহ করে বীজ তলায় চারা তৈরি করে রোপণ করেন আবাদি জমিতে। প্রথম বছরেই ভাল ফলন হওয়ায় আগামীতে চাষের পরিধি আরও বাড়ানোর চিন্তা করছেন। এ বছর প্রায় ১৫শতক জমিতে প্রায় দুই হাজার ব্রোকলির চারা রোপণ করেছেন । তার এচাষ দেখে অনেকেই ব্রোকলি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবল সরকার জানান, এ অঞ্চলের মাটি ব্রোকলি চাষের জন্য উপযুক্ত কিন্তু এই সবজি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় কৃষকরা ব্রোকলি চাষে আগ্রহী নয়। বাণিজ্যিকভাবে ব্রোকলি চাষে এই প্রথম কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা উদ্যোগ নেই। বীজ দেওয়ার পাশাপাশি আমরা চাষাবাদ তদারকি করি। তাই ফলন অত্যন্ত ভাল হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ব্রোকলির বীজ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলায় বপন করা হয়। পরে নভেম্বরের শুরুতে তা মূল খেতে রোপণ করা হয় । বীজ বপন থেকে ৮০-৯০ দিনের মধ্যে এতে ফুল আসে। চাষি মলিন্ড বিশ্বাসের এ খেতে সম্পূর্ণ নিরাপদ পদ্ধতিতে ব্রোকলি চাষ করা হচ্ছে। ব্রোকলির জমিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব সার ব্যবহার করা হচ্ছে। মেধা বিকাশ, চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি, ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ, রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধিসহ মানবদেহের স্বাভাবিক পুষ্টি বজায় রাখার পাশাপাশি ব্রোকলি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ফসল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads