সপ্তাহখানেক পরেই বাজারে আসবে কালুখালী উপজেলায় চাষকৃত মুড়িকাটা পেয়াজ। রোপনের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে তোলা যায় বলে বেশি লাভবানের আশায় চাষিরা এ পেঁয়াজ চাষ করে থাকে। আর এবার পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা লাভের ব্যাপারে বেশ আশাবাদি।
পেঁয়াজ চাষাবাদে রাজবাড়ী জেলার মাটি উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা সুযোগটি কাজে লাগায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সকল ইউনিয়নে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপন করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রতনদিয়া, মৃগী, সাওরাইল ও কালিকাপুর ইউনিয়নে। তথ্যমতে সারা দেশের পেঁয়াজের চাহিদার ১৩ শতাংশ পেঁয়াজ রাজবাড়ী থেকে সরবরাহ করা হয়।
পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যপারে রতনদিয়ার কৃষক মোঃ মালেক ব্যাপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিবছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষা করে মোটামোটি লাভ হয়। তবে এবার পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় বেশি লাভবান হব বলে আশা করি।
কালুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাছিদুর রহমান জানান, কালুখালী উপজেলার মাটি পেঁয়াজ চাষে বেশ উপযোগী। পেঁয়াজ চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়। চাষীদের যে কোন প্রয়োজনে আমরা সবসবময় সহযোগীতা করে আসছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সর্বদা পর্যবেক্ষণ করছেন।