আদালতের আদেশ অমান্য করে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাব্বির ২ ও সাব্বির ৩ নামের লঞ্চ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডায়রী করেছেন লঞ্চের বর্তমান মালিক মো. রাসেল মিয়া।
আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে লঞ্চ দু’টি সদরঘাটে নোঙর করা অবস্থায় সাবেক মালিক মিজানুর রহমান ও তার লোকজন মিলে লঞ্চের স্টাফদের মারধর করে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে বর্তমান মালিক রাসেল মিয়া জানান, ২০১৮ সালে মিজানুর রহমান নামের ব্যক্তির নিকট থেকে চুক্তিতে সাব্বির ২ ও ৩ নামের লঞ্চ দু’টি ক্রয় করি। টাকা পরিশোধের মেয়াদ ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত থাকলেও ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে চুক্তির কয়েকটি কিস্তি বাকি পড়লে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে জোর পূর্বক লঞ্চ দুটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলার রায় লঞ্চের মালিকানা আমার ওপর ন্যস্ত করে। বর্তমানে আমি অসুস্থ থাকায় অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আজ শনিবার লঞ্চঘাটে ভিড়লে মিজানুর রহমান ও তার ছেলে সাদ্দাম সাব্বির সহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে লঞ্চের ষ্টাফদের মারধর করে লঞ্চ দুটিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এত লঞ্চের মাষ্টার হান্নান, সুকানিসহ কয়েকজন ষ্টাফ আহত হলে তাৎক্ষণিক ঘটনা পুলিশকে জানালে তারা এসে লঞ্চ পুলিশের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক মালিক মিজানুর রহমানের ছেলে মো.সাব্বিরের মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়ে কোন প্রকার বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এসআই মিলন ফকির জানান, সদরঘাটে লঞ্চ ছিনতাইতায়ের চেষ্টায় রাসেল মিয়া বাদী হয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে। লঞ্চ দুটি থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।