সংসার সামলেই নিজের ক্যারিয়ার গড়বে নারী

সানজিদা খন্দকার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

তথ্যপ্রযুক্তি

‘টু আওয়ার জব’

সংসার সামলেই নিজের ক্যারিয়ার গড়বে নারী

  • এম রেজাউল করিম
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর, ২০১৮

একজন নারী তার জীবদ্দশায় দুটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। একটি তার পেশাদার কর্মক্ষেত্র আরেকটি সংসার। এ দুটি প্ল্যাটফর্মে সমানতালে কাজ করতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় অনেক নারীকে। কারণ নিজের সুবিধামতো সময়ে না সংসার সামলানো, না কর্মক্ষেত্রের কাজগুলো করতে পারে। এতে ক্যারিয়ারের বাতিও ধীরে ধীরে নিভে যেতে শুরু করে। পেশাদার কর্মক্ষেত্র আর সংসার দুটিকে একসঙ্গে সামলাতে না পেরে হিমশিম খাওয়া সেসব নারীর চিন্তা দূর করে, তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ যোগ্যতায় স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে ‘টু আওয়ার জব’ নামের একটি প্লাটফর্ম। সম্প্রতি ‘টু আওয়ার জব’ সম্পর্কে বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে কথা বলেছেন প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা খন্দকার। বিস্তারিত লিখেছেন এম রেজাউল করিম

বাংলাদেশের খবর : এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ভাবলেন কেন?

সানজিদা খন্দকার : চিন্তাভাবনা শুরু হয় আমার প্রথম সন্তানের জন্মের পর থেকে। বিয়ের পরও আমি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের একটি শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেখানে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করতাম। এরপর প্রথম সন্তান জন্মের পর তাকে বেশি সময় দিতে হতো। একটা সময় অনুধাবন করলাম, সন্তানকে সময় দিয়ে আমার পক্ষে ৯টা-৬টা অফিস করা সম্ভব নয়। আর অফিসে থাকাকালীন সন্তানকে দেখার কেউ থাকত না। তাই বাধ্য হয়ে চাকরিটা ছাড়তে হলো। সারা দিন সন্তান ও সংসার নিয়ে থাকলেও মনে হতো আমার ক্যারিয়ার বুঝি শেষ। বিষয়টি নিয়ে হতাশায় ভুগতাম। ভাবতাম, একজন নারী সন্তান জন্ম দিয়ে জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পান। সেই সন্তান কেন তার হতাশার বা ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার কারণ হবে। এ পরিস্থিতিতে মাথায় আসে এমন কিছু একটা করতে হবে, যেখানে কোনো নারীর সংসার বা সন্তানকে তার ক্যারিয়ার গড়ার পথে বাধা মনে হবে না। সেই থেকেই আমার প্ল্যাটফর্ম ‘টু আওয়ার জব’ নিয়ে পথচলা শুরু।

বাংলাদেশের খবর : আপনারা কতগুলো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছেন?

সানজিদা খন্দকার : আমরা এখনো সেভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করিনি। তবে আমাদের এখন ৭০ জন বায়ার রয়েছে এবং প্রায় ৬৫০ জন নিবন্ধিত নারী সদস্য রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকার মধ্যে কাজ শুরু করব। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ভালোভাবে মার্কেটিং করা, যাতে সবাই এ ব্যাপারে জানতে পারে।

বাংলাদেশের খবর : আপনাদের প্ল্যাটফর্মে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে?

সানজিদা খন্দকার : আমাদের ‘দ্য টু আওয়ার জব’র ওয়েবসাইটে পেশাদার লেখা, ব্যবসায় সহায়তা, প্রোগ্রামিং, প্রযুক্তি, গ্রাফিকস, ডিজিটাল মার্কেটিং, অডিও সাপোর্ট, মার্কেট রিসার্চ, জীবনধারা, বিনোদন, গবেষণা, বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার ব্যবস্থা থাকবে।

বাংলাদেশের খবর : সরকারি কোনো সহযোগিতা পেয়েছেন?

সানজিদা খন্দকার : আমাদের এ উদ্যোগ এত দ্রুত অনেক বেশি গণমানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, তা আমরা আশা করিনি। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে আমরা শুধু জানাতে চেয়েছি যে আমরা এটি চালু করব কি না। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সায় দিয়েছে এবং শেয়ার করে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। সেখান থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চোখে পড়ে আমাদের এ উদ্যোগ। এখন আমরা সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে লেবারেল আইসিটি ডেভেলপমেন্ট আমাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী আইটি সেক্টরের এলআইসি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।

বাংলাদেশের খবর : ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলুন।

সানজিদা খন্দকার : এ প্রচেষ্টাকে আমরা গ্লোবাল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা এশিয়ার কিছু দেশ নিয়ে কাজ শুরু করতে চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads