কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনের চোরাই কাঠ দিয়ে দেদারছে চলছে ফিশিং বোট তৈরীর হিড়িক পড়েছে। বনবিভাগের কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় ব্যবসায়ীরা মাতামুহুরী নদীর চরে এ ফিশিং বোট তৈরীতে নেমেছে। বোট তৈরীতে জড়িতদের সাথে বনকর্মীদের অলিখিত সমঝোতা থাকায় বনকর্মীরা পালন করছে নীরব ভুমিকা। পরিবেশ সচেতন মহলের অভিযোগ, অবৈধ ফিশিং বোট তৈরীতে দিব্যি গাছ ব্যবহার হওয়ার কারনে কক্সবাজার উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিন ও লামা বনবিভাগের সরকারী বনাঞ্চলের মুল্যবান বনজসম্পদ দিন দিন উজাড় হতে চলছে।
কাঠ ব্যবসায়ীরা জানান, ফিশিং বোট তৈরীতে ব্যবহার করা লম্বা আকৃতির গাছ মুলত সংগ্রহ করা হচ্ছে কক্সবাজার উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও লামা বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে। বনকর্মীদের ম্যানেজ করে কাঠ চোরাকারবারী চক্ররা রাতের আঁধারে এসব মাদার ট্রি কেটে পাচার করে।
ক্ষেত্র বিশেষে বনকর্মীরা ম্যানেজ করে, বেতুয়াবাজার, বদরখালী, কৈয়ারবিল, বাটাখালী, মালুমঘাট, তরছঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ফিশিং বোট তৈরী করছে সংরক্ষিত বনের মূল্যবান কাঠদিয়ে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, মাতামুহুরী নদীর তীরে ফিশিং বোট তৈরীর জন্য কেউ বনবিভাগ থেকে অনুমতি নেয়নি। তিনি আরও বলেন, মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব ফিশিং বোট তৈরী করা হচ্ছে সবই অবৈধ। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেন বলেন, বোট তৈরীর স্থানে বনবিভাগের লোকজন পাঠানো হবে। অবৈধভাবে কেউ বোট তৈরী করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।