শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে স্ত্রীকে হত্যা, ১০ মাস পর রহস্য উদঘাটন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে স্ত্রীকে হত্যা, ১০ মাস পর রহস্য উদঘাটন

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৫ অগাস্ট, ২০২১

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্কে স্ত্রীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার ঘটনায় দশ মাস পর হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

স্বামীর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তেঘরিয়া ইউনিয়নের কদমপুর এলাকার ভাড়া বাসার পাশের পুকুরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় স্ত্রীর মোহনার লাশের হাড়, মাথার খুলি, চুলের কিছু অংশ ব্যবহৃত কাপড়সহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে, গত বছরের ২৩শে নভেম্বর থেকে মোহনা নিখোঁজ হয়। পরে মোহনার মা রহিমা বেগম বিদেশ থেকে ফিরে গত ১৪ই জুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলার এক নম্বর আসামি ইকবাল ও রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে আরিফাকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সাইফুল আলম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন তেঘরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কদমপুর এলাকার ইকবালের ভাড়া বাসার পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে একটি হাড়ের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। এরপর সেটিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, ইন্সপেক্টর তদন্ত খালেদুর রহমান ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। যত দ্রুত সম্ভব এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করার কথা বলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ওই পুকুরে অভিযান চালিয়ে জাল টেনে নিহত মোহনার হাড়গোড় মাথার খুলিসহ চুল, জমাট বাঁধা মাংসের টুকরা ব্যবহৃত কাপড় চোপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুল আলম জানান, মামলার তদন্তভার আমার উপর ন্যস্ত হওয়ার পর থেকে এ মামলার জন্য দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামি ইকবালের জবানবন্দি মোতাবেক আমরা যে লাশের যে অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছি তার সাথে জবানবন্দির সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। তারপরেও অধিকতর তদন্তের স্বার্থে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসলে উদ্ধারকৃত লাশের নমুনা মোহনার কি না তা সম্পূর্ণ নির্ধারণ করা যাবে। এ ঘটনায় বর্তমানে ইকবাল ও আরিফা কারাগারে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি, এটা আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তের একটি অন্যতম সাফল্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads