সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই হামলা, মামলা ও গণগ্রেফতার অভিযোগ করে আসলেও নির্বাচনে মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এজন্য ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পর্যন্ত ভোটের মাঠে অবস্থান ধরে রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে তারা।
সিলেট বিএনপির নেতারা জানান, ২৮ তারিখ পর্যন্ত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এরপর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে তারা। ভোটের দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের দলবেধে ভোট কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। ঐদিন ভোটকেন্দ্র পাহাড়া দিয়ে ভোটের ফলাফল হাতে নিয়েই ফিরবেন নেতারা। এক্ষেত্রে আসা সকল বাধা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে বলা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের আশা, সেনাবাহিনী মাঠে নামায় নির্বাচনের মাঠে ভারসাম্য ফিরে আসবে।সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। হামলা ও গ্রেফতার কমে যাবে। প্রার্থীরাও ভালোভাবে তাদের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন বলেন, ভোটের মাঠে সেনাবাহিনী উপস্থিতি জনগনকে ভোট প্রদানে উৎসাহীত করবে। আমরা আশা করি তাদের উপস্থিতি ভোটের মাঠে সমান সুযোগ ফিরে আসবে। জনগন আমাদের পক্ষে রয়েছে। তাদের নিয়েই আমরা মাঠে নামবো। তিনি অভিযোগ করেন,গত কয়েকদিনে আমাদের সুনামগঞ্জেই ৫৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, আমার বিশ্বাস নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। সিলেট বিভাগের বিএনপি নেতাদের বলা হয়েছে এখন থেকে আরো বেশী করে ভোটের মাঠে নামতে।শেষ দুইদিনে প্রচারণা আরো বাড়বে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল-মূসা বলেন, পুলিশ কাউকে বিনা কারণে আটক বা হয়রানি করে না। যাদের নামে মামলা আছে শুধুমাত্র তাদেরই আটক করা হয়েছে।