শেষ কার্যদিবসে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

শেষ কার্যদিবসে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবেই গর্ব অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ পদটাকে (প্রধানমন্ত্রী) কীভাবে উপভোগ করব, সেই চিন্তা করি না। মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম, আমার কাছে সেটাই বিবেচ্য।

প্রধানমন্ত্রী তার ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনা। সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসের বিদায়বেলায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় তিনি বলেন, ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার...।’

প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা- ফাদারস ডটার। সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইব, আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব, এটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই। সেটাই আমার কাছে বড়।

বিদায়বেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে এখানে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবে, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারী। আপনাদের বেতন-ভাতা দেশের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই হয়। কাজেই তাদের সেবা করা, কল্যাণ করা, আপনাদের দায়িত্ব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার টানা দুই মেয়াদের সরকারের আমলে হওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, কার্যালয়ের মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মকবুল হোসেন ও একান্ত সচিব (২) অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের দেয়ালে স্মৃতিময় ১৯৫২ থেকে ’৭১-এর মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাসসমৃদ্ধ একটি টেরাকোটার ম্যুরাল পরিদর্শন করেন। ছাত্রলীগ নেতা মুহম্মদ আরিফুজ্জামান নূর নবী এ ম্যুরালের ভাস্কর।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads