ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল থেকে রক্ষা পাবে দেশ

  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

মনীষা তালুকদার

 


জনসংখ্যা দেশের জন্য আর্শীবাদ ও অভিশাপ দুটোই হতে পারে। যখনই দেশের সম্পদ দেশের জনগণের তুলনায় অপ্রতুল হয়ে যায় তখনই দেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ হয় এবং এই বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি হয়ে পরে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হলে প্রথমে তাদেরকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণ জানতে হবে। জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণ সমেত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকা রাখতে হবে।

সমাজে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, ছেলে সন্তানের লোভে অধিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ অনেকাংশেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কুসংস্কার। কুসংস্কারের বিভিন্ন বেড়াজাল যে সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তার অন্যতম কারণ অশিক্ষা বা শিক্ষার অভাব। যখন দেশের মানুষের গড় আয়ু কম হয় এবং শিশু মৃত্যুর হার বেশি হয় তখন দেশের জনগণ অধিক সন্তানের প্রতি আগ্রহী হয়। দারিদ্র্যতার হার বেশি আর নারীর মতামতের প্রাধান্য না থাকায় জনসংখ্যার বিস্ফোরণে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার্থীরা বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহের কুপ্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার ছাপাতে পারে। বিভিন্ন সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। যেখানে পরিবারের সদস্যদের বুঝাতে হবে সন্তান ছেলে হোক আর মেয়ে; পরিবারের ভার বহনে উভয়েই সক্ষম। দারিদ্র্যতা কমানোর জন্য বেশি সন্তানের জন্ম নয় বরং পরিবারের নারী সদস্যদের শিক্ষিত ও কর্মক্ষম হতে উৎসাহ ও কার্যকারী ভূমিকা রাখতে হবে। এ ব্যাপারগুলো শিক্ষার্থীরা সমাজের মানুষকে নানান কায়দায় বুঝানোর দায়িত্ব নিলে আশা করা যায় জনসংখ্যার হার কমে আসবে। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে উৎসাহিত করতে পারে। বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের “মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা”, “মা ও শিশুর পুষ্টি” প্রভৃতি সম্পর্কে অবহিত করাতে পারে শিক্ষার্থীরা। উপরোক্ত সবগুলো কাজই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সদস্য হিসেবে অথবা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। আর যখন তরুণ প্রজন্মের এই শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবে তখনই দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল থেকে রক্ষা পাবে।


শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads