শালগম চাষে আবদুল আউয়ালের সাফল্য

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

শালগম চাষে আবদুল আউয়ালের সাফল্য

  • বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩ জানুয়ারি, ২০২২

বাহুবল উপজেলার পূর্ব দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক আবদুল আউয়াল প্রায় ১০ শতক পতিত জমিতে শালগম চাষ করেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকা। ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তিনি। এতে বেশ লাভ হয়েছে তার।

আবদুল আউয়াল বলেন, আমার কাছে শালগম চাষ করা সহজ মনে হয়েছে। ক্ষেতে সামান্য পরিমাণে সার ও অধিক পরিমাণে গোবর দিয়েছি।

শালগম চাষে আবদুল আউয়ালের সফলতা দেখে এলাকার অন্য কৃষকরা উৎসাহিত হয়েছেন। অনেকেই যোগাযোগ করেছেন আবদুল আউয়ালের সঙ্গে। তিনিও শালগম চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন।

দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, শালগম চাষ করতে কৃষক আবদুল আউয়ালকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি শালগম করে চাষ করে সফল। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকও শালগম চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। আশা করছি, আগামী মৌসুমে শালগমের চাষ বাড়বে। তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শালগমে আছে ০.৫ গ্রাম আমিষ, ৬.২ গ্রাম শকর্রা, ০.৯ গ্রাম আঁঁশ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ২৯ কিলোক্যালরি শক্তি, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান বলেন, হবিগঞ্জে শালগম চাষ হারিয়ে যাচ্ছিল। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করে এ সবজির চাষ বাড়ানোর চেষ্টা করেছি।

উল্লেখ্য, শালগম এক প্রকার রূপান্তরিত মূল এবং মাটির নিচের অংশ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শালগম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শালগমে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি কফ, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা নিরাময়ে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন-সি দেহের কোষ ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads