শরীয়তপুর জেলা বিএনপি এখন তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। জাতীয় কোনো কর্মসূচি গ্রুপ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পালন করতে হচ্ছে। এ কারণে গত ছয় বছর ধরে বিএনপি জেলা কার্যালয় তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সবাই ঢাকায় বসবাস করেন। ঢাকা বসেই দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, জেলা বিএনপি এখন তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপে নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু। আরেকটি গ্রুপে নেতৃত্ব দেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবের স্ত্রী তাহমিনা আওরঙ্গ ও কেন্দ্রীয় নেতা জামাল শরীফ হিরু। অন্য গ্রুপটির নেতৃত্বে আছেন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী কারাবন্দি মিয়া নুরুদ্দি অপু। তারা ঢাকায় বসে ফোন করে সমর্থকদের কর্মসূচি পালন করতে বলেন। সমর্থকরাও কারো বাড়ির আঙ্গিনায় বসে ফটোসেশনের মাধ্যমে নামমাত্র কর্মসূচি পালন করে থাকে।
দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নেতারা এলাকায় না থাকায় ও দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকায় তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৩ সালে আ.লীগ লোকজন তাদের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়।
বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, প্রশাসন অনুমতি দেয় না; এ জন্য আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি না। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে দলের মধ্যে বিভক্তি হয়েছে।