মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মুদি দোকানীর বিরুদ্ধে। উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের দুলাল মৃধা (২৬) নামক এক মুদি দোকানী ষষ্ঠ শ্রেণির শিশুটিকে দুই দিন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ দায়ের করে লৌহজং থানায় মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে লৌহজং থানায় রোববার মামলা করা হলে মামলা তুলতে মৃত্যুর হুমকি ধমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবার। এদিকে ধর্ষক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। বিচারের আশায় ভোক্তভুগী পরিবারটি মানুষের দ্বারেদ্বারে গিয়েও পাচ্ছে না বিচার।
জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা বেলায় উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের দুলাল মৃধার মুদি দোকানে যায় শিশুটি। এসময় দুলাল মৃধা মেয়েটির মুখ আটকে পাশে থাকা ঘরে নিয়ে শিশুটকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পরে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুশিয়ারি দেন দুলাল। পরের দিন বৃহস্পতিবারও একই সময় শিশুটিকে দোকানের সামনে পেয়ে আবারও মুখ আটকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার সকালে শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে শিশুটির মা স্থানীয় মাদবর ইমান, সোহরাব ও নশেদকে বিষয়টি জানান। সেদিনই বিকালে এ তিন মাদবর শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করে এবং তারা ভোক্তভুগী পরিবারকে আশ্বাস দেয় তারা বিচার করবে কিন্তু কোন বিচার করেননি তারা। অসহায় পরিবারটি স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিচার না পাওয়ায় গতকাল রোববার দুপুরে লৌহজং থানায় মামলা করেন। এখন শিশুটির পরিবারকে নানান ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা না তুললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবার।
শিশুটির মা ও বাবা জানান জানান, অনেক কষ্ট করে মেয়েটিকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালাচ্ছে। হাজারও অভাব থাকার পরও মেয়েটির পড়াশোনা থামাননি তারা। আজ তার শিশু মেয়েটির জীবন নষ্ট করে দিয়েছে বখাটে দুলাল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মাদবর কারও কাছেই বিচার না পেয়ে লৌহজং থানায় মামলা দায়ের করা করেছেন। কিন্তু পুলিশ আসলেও ধরতে পারেনি দুলালকে। ধর্ষক দুলালের কঠর বিচারের দাবী করে অসহায় পরিবারটি জানান ধর্ষক দুলালের এমন বিচার করা হোক সে বিচার দেখে পৃথিবীর সকল মানুষ কেঁপে উঠুক যাতে এ রকম অপরাধ করার সাহস কারও না হয়। এ বিচার দেখে যেনো সবাই সর্তক হয়ে যায়। আমাদের মেয়েসহ সকল মেয়ে হোক নিরাপত্তহীন।
এ বিষয়ে লৌহজং থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, মেয়েটির মা বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দুলালের বাসায় পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুলাল পলাতক রয়েছে।
