লামায় যাত্রীবাহী জীপ গাড়ি দুর্ঘটনায় ১৫জন আহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় লামা-চকরিয়া সড়কের ইয়াংছা-কুমারীর মাঝামাঝি সাড়ে ৫ মাইল নামক স্থানে ফিটনেস বিহীন জীপ গাড়িটি পাহাড়ে গভীর খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি লামা হতে চকরিয়া যাচ্ছিল।
আহতরা হলেন : লামা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাবেদ মীরজাদা (৪৩), জীপ গাড়ির ড্রাইভার মো. জাহাঙ্গীর (২৮), সালাউদ্দিন (৩৭), সোহেল কবীর রানা (২৮), সোহাগ (২০), সুইচিং মার্মা (৩২), মিজানুর রহমান (২৮), আনোয়ার হোসেন (২৮), বাবুল আহম্মদ (৩৫), নুরুল আলম (১৮), আবু বক্কর (২৪), তাপসী (৩০), শরীফ (২২), মো. কাদের (২১) ও সাদেকুর রহমান (৩২)।
আহতদের মধ্যে ১০ জন চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আরেক গুরুতর আহত যাত্রী তাপসী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বাকী ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাবেদ মীরজাদার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চকরিয়া হাসপাতাল হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির এক যাত্রী বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি হওয়ায় ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ড্রাইভার দুর্ঘটনার সময় মোবাইলে কথা বলছিল। এই রাস্তার অনেক গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। ছোট ছোট ছেলেরা গাড়ি চালায়। এছাড়া বিগতদিনে অনেক দুর্ঘটনায় জীপ মালিক সমিতি আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা করেছিল। দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের চিকিৎসার দায়িত্ব গাড়ির মালিক ও ড্রাইভার নিতে চায়না।
লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার সব্যসাচী চাকমা বলেন, খবর পেয়ে লামা ও চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আহতরা অধিকাংশ লামা উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলা সদরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বার বার বলা সত্ত্বেও গাড়ির ড্রাইভারদের ঠিক করা যাচ্ছেনা।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।