ফুলবাড়ীতে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ বুলবুলি বেগমের (২৮) পেটে লাথি মারার ৯দিন পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার গর্ভপাত ঘটেছে। গর্ভপাতে জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানটি মৃত ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ মে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের মেলাবাড়ী সেনোড়া গ্রামে। বুলবুলি বেগম ওই গ্রামের অটোরিকশা মেকানিক ওয়াহেদুল ইসলামের স্ত্রী।
বুলবুলি বেগমের স্বামী ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, গত ১১ মে সকালে তার বাড়ির সামনে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান লাল্টুর স্ত্রী রুবিনা খাতুন ধানের খড় শুকাতে দেন। ওইদিন সন্ধ্যার আগে খড়গুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য রুবিনা খাতুনকে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিণ্ডার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে রুবিনার বাড়ির আলী হোসেনের ছেলে মেহেদুল, বুদু ও মোতালেব বুলবুলি বেগমকে মাটিতে ফেলে পেটানোর জন্য হুকুম দেয় রুবিনা। এ সময় রুবিনা বুলবুলিকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার পেটে লাথি মারে। এতে অন্তঃস্বত্ত্বা বুলবুলি পেটের ব্যথায় মাটিতে ছটফট করতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ১৯ মে ছাড়পত্র নিয়ে বুলবুলি বেগম নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে বুলবুলি বেগমের পেটে অসনীয় ব্যথা উঠলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত নবজাতকের গর্ভপাত ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোছা. নাফিসা আলম বলেন, বুলবুলি প্রায় ৭ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গর্ভপাতের বহুপূর্বেই তার বাচ্চাটি মারা গিয়েছিল। তবে বুলবুলিকে ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।