চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা কম হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪৭ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যেখানে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১.১৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৬৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস (জুলাই-অক্টোবর) পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৭ হাজার ১ কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায়ে আমরা পিছিয়ে আছি। করোনা মহামারীর মধ্যে ১.১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। আশা করছি ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি আরো ভালো হবে। এর আগে পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার ৭১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয় ৪৯ হাজার ৯৮৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। মোট ঘাটতি ছিল ১৩ হাজার ৭২৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ভ্যাটখাত থেকে। এখাতে আদায় হয়েছে ১৮ হাজার ১১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর শতাংশ হিসাবে সাফল্য দেখিয়েছে আয়কর ও ভ্রমণখাত। এখাতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৫.০৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আয়করখাতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৭১০ কোটি ১১ লাখ টাকা। যেখানে আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৯১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ের শুল্কখাতে ২১ হাজার ৮০৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এখাতে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৮৪৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে, যদিও সবচেয়ে বেশি ৬.৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে শুল্কখাতে গত অর্থবছরের চেয়ে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়।