লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পুলিশের সাথে যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর হাসপাতাল, যুবলীগের দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর ব্যক্তিগত কার্যালয় কিছু সময়ের জন্য ঘেরাও করে রাখে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন, কনস্ট্রেবল নয়ন পাল ও মেহেদী হাসান।
পুলিশ সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, থানা কমিটির সদস্য রুপম হাওলাদার, পৌর যুগ্ন আহবায়ক মো: মিজান, হ্যামেল ক্বারী, সাইফ উদ্দিন আজগর, আফলু ও সাইমুন, মো: রণি, আসিক আহমেদসহ ১২ আটক করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখতে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে যান। এসময় টিপুর সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা হাসপাতালে দেলোয়ারকে মারধর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৪ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয় খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সদর হাসপাতাল ও জেলা যুবলীগের দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ যুবলীগের নেতাকর্মীকে আটক করে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজলুর রহমানের সঙ্গে দেলোয়ারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি দেলোয়ার হোসেন এলাকার ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে দীর্ঘদিন সে কারাগারে ছিল। গতকাল মঙ্গলবার ওই মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে আজ বুধবার সকালে ফের ফজলুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে বলে ফজলুর আত্নীয় স্বজনরা অভিযোগে জানিয়েছেন। এদিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনায় দরজা-জানালাসহ বেশ কিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহত দেলোয়ারকে নোয়াখালীতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফজলুর রহমানকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় আহতদের দেখতে গেলে যুবলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করা হয়।