লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে নির্বাচনী প্রচারকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হামলায় লাঠি ও ইটের আঘাতে ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে আহত হয়েছে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল দশটার দিকে কেন্দ্রিয় বিএনপির নেতা অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কুশাখালী বাজারে গণসংযোগ করতে যায়। এ সময় কুশখালী বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসভবনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন তার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ প্রায় ৩০ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়
ঘটনাস্থলে পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকজনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গুলি ছুঁড়ে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, সকালে বিএনপির নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি নির্বাচনী প্রচারণার নামে শান্তির হাট বাজারে এসে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় তার লোকজন। আমি ঘটনারস্থলে ছিলাম না। পরে এসে শুনেছি বিএনপির লোকজন হামলা করার পর আওয়ামী লীগের লোকজন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।
এ সময় বিএনপির লোকজনের হামলায় আওয়ামীলীগের প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল বাকীদের নোয়াখালী হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ গিয়ে গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।