উখিয়ায় আশ্রীত বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আওতাধীন ফসলী জমি গুলোতে চাষাবাদের পরিবেশ না থাকায় জমির মালিক পক্ষ হতাশ হয়ে পড়েছে। অভাব অনটনের অভিযোগ উঠেছে এসব পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে। তাদের দাবী তারা বসতভিঠা সংলগ্ন ফলজবনজ বাগানসহ বসতভিঠার পরিত্যাক্ত অংশ মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের ছেড়ে দিয়েছে। বসবাসরত রোহিঙ্গারা জমিতে ময়লা আবর্জনা পায়খানা প্র¯্রাবসহ বিভিন্ন বৈজ্য পেলার কারনে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গারা ভেঙ্গে দিয়েছে জমিতে বোরো চাষাবাদের জন্য স্থাপিত গভীর নলকূপের স্থাপনা। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরজমিন বালুখালী ১২ ক্যাম্পের ঘোনার পাড়া ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা রোহিঙ্গাদের বসত ভিঠায় আশ্রয় দেওয়ার ফলে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত এক বছর ধরে জমিতে চাষাবাদ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে খাদ্য অভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে মোঃ জুহুর আলম জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কর্তৃক পদত্ত সাইটামট ডেপলপম্যান্ড প্রজেক্টট নামীয় একটি বিশাল ফলজ ও বনজ বাগান রোহিঙ্গারা দখল করে ঘরবাড়ী তৈরি করেছে। তৎসংলগ্ন প্রায় ৪ একর জমিতে সে তিন ফসলী চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার্য্য মলমুত্র, ময়লা আবর্জনা জমিতে পেলার কারনে এক বছর ধরে ওই জমি গুলোতে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি দাবী করেন কতিপয় এনজিও সংস্থার ইন্ধনে জমিতে পানি নিস্কাশনের জন্য বসানো গভীর নলকূপের ঘরটি মঙ্গলবার রাতে ভেঙ্গে দিয়েছে। এভাবে কৃষক গোরা মিয়া, আব্দুর রহিমসহ একাধিক লোকজন রোহিঙ্গা কর্তৃক নানাধিক ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল মেম্বার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কৃষি জমি গুলোতে চাষাবাদের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় এক হাজার একর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যাতে জমিতে চাষাবাদ করা যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আস্বস্থ করেন।