রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণে সড়ক পথে শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। পক্ষান্তরে দেশের রেলপথে ট্রেনযাত্রা হয়ে উঠছে নিরাপদ ও আরামদায়ক। রেলকে আরও গতিশীল করার জন্য জনবল ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখের ওপর করা হবে।
আজ শনিবার সকালে ঈশ্বরদীর পাকশীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ১১তদ (সিপাহী) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাউয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলবান্ধব শেখ হাসিনা সরকার রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলেও হাইস্পিড ট্রেন চালু করা হবে জানিয়ে বলেন, সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অচিরেই রেলওয়েতে লোকবল ১ লাখের উপরে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। রেলওয়েকেও এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাকশী অঞ্চলে বৃটিশ আমল থেকেই রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। কাজেই এ অঞ্চলের বিশাল ঐতিহ্য রয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একসময় রেলের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ পণ্য পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামীতে যাতে ৩০ শতাংশ করা যায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ অনুষ্ঠানে ৭৪ জন আরএনবির সিপাহী তাদের প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতা এ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ইউএনও আহাম্মদ হোসেন ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, আতিয়া ফেরদৌস কাকলীসহ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পাকশী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রেল শ্রমিক লীগের নেতারা এবং স্থানীয় সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।