রেলস্টেশনের সিগন্যাল পোস্ট অকেজো

ফাইল ছবি

সারা দেশ

রেলস্টেশনের সিগন্যাল পোস্ট অকেজো

  • আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া
  • প্রকাশিত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের সিগন্যাল ও জরাজীর্ণ সিগন্যাল পয়েন্টের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ট্রেন চলাচল। স্টেশন এলাকার তিনটি ডিপারচার সিগন্যাল অকেজো হয়ে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। এছাড়া লাইন ক্রসিংয়ের জন্য একটি পয়েন্টের তার ও রড জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ঠিকমতো কাজ করে না। এদিকে বগুড়া রেলস্টেশনের ৬টি লাইন থাকলেও কার্যকর রয়েছে ২টি লাইন। গতকাল সোমবার থেকে একটি লাইন (৩ নম্বর) সংস্কারের কাজ শুরু হলেও অপর তিনটি লাইন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৭ নবেম্বর একটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস পয়েন্টিংয়ের মাধ্যমে ২নং লাইনে ওঠার সময় লাইনের ওপর থাকা ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের মার্কেটের মাঝ দিয়ে চলতে শুরু করলে অল্পের জন্য ব্যাপক প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেলেও দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। এরপর থেকে রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। দীর্ঘ বছর ধরে রেললাইনের ওপর থাকা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটের দোকান অপসারণ করে রেল পুলিশ ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ভ্রাম্যমাণ মার্কেট মূল লাইনের ওপর থেকে অপসারণ হলেও ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের আপ সাইডে ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর সিগন্যাল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে না। সিগন্যাল ও পয়েন্টিং তারের মাধ্যামে নিয়ন্ত্রণ হয় স্টেশনের কেবিন থেকে। স্টেশন মাস্টারের সিগন্যাল ও সিগন্যাল কেবিনের সমন্বয়ে পুরো সিস্টেম কাজ করে। দেখা গেছে, তিনটি সিগন্যালের কোনো তারই নেই। সেগুলো সিগন্যাল পোস্টের সঙ্গে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সিগন্যাল পোস্ট আবার মূল অর্থাৎ এক নম্বর লাইনের চলাচলের সঙ্গে জড়িত। এসব সিগন্যালের সামনে বিপরীত পাশের কাপড় ব্যবসায়ী শামিম জানান, কবে সিগন্যাল কাজ করেছিল তা মনে নেই। স্টেশনের এক কর্মচারী জানান, গত ৯ বছর ধরে সিগন্যাল অকেজো অবস্থায় দেখছেন। ১ নং লাইন থেকে পয়েন্টিং (২ নম্বর পয়েন্ট) এর মাধ্যমে যেখানে ক্রসিংয়ের জন্য আপ ট্রেন ২ নম্বর লাইনে তোলা হয়, সেখানকার পয়েন্টিং অবস্থা খুবই নাজুক। কেবিন থেকে লিভার টানলেও পয়েন্টিং সঠিকভাবে হয় না। রেলে সিগন্যাল সংশ্লিষ্টদের আবার দৌড়ে এসে টেনে ধরে পয়েন্টিং করা হয়। এছাড়া এসব সিগন্যালের তার যে ছোট খুঁটির মধ্য দিয়ে সিগন্যাল পোস্টে পৌঁছে- এ কোনোটার মধ্যেই তার নেই। সেসব তার পোস্টের সঙ্গে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। বগুড়া রেলওয়ের সিগন্যাল বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক তিনটি ডিপারচার সিগন্যাল নষ্ট থাকাসহ তার ও পয়েন্টিং জরাজীর্ণ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, এতদিন রেললাইনের ওপর ভ্রাম্যমাণ মার্কেট থাকার কারণে এটি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও ইতোপূর্বে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads