বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সচিবরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে অফিসার্স ক্লাবে কয়েকজন সচিবের ‘গোপন বৈঠকের’ যে অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে, তা নাকচ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকারের সচিবরা। আজ রোববার আলাদাভাবে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও বিএনপি নেতার অভিযোগ নাকচ করেছেন।

গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, প্রশাসন ও পুলিশের বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় বসাতে প্রতিনিয়ত গোপন বৈঠক চলছে। গত ২০ নভেম্বর রাতে অফিসার্স ক্লাবের চার তলায় পেছনের কনফারেন্স রুমে ওই বৈঠক হয় বলে তিনি দাবি করেন।

গতকাল রোববার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে জনপ্রশাসন সচিব মো. ফয়েজ আহম্মদ বলেছেন, গত ২০ নভেম্বর তিনি অফিসার্স ক্লাবেই ছিলেন না, ফলে বৈঠকে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কল্পিত ঘটনায় জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদকে জড়িয়ে রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। যে তারিখ ও সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই তারিখ ও সময়ে জনপ্রশাসন সচিব মন্ত্রণালয়ের দাফতরিক কাজ সম্পাদন শেষে রাত ৮টায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অফিস ত্যাগ করেন। ওইদিন তিনি অফিসার্স ক্লাবেই যাননি অথচ তাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে; যা তার সুনাম ও সম্মানের হানিকর।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, অফিসার্স ক্লাবে অফিসাররাই তো যাবেন। আগেও গেছেন, ভবিষ্যতেও যাবেন। এটাকে ভিন্ন খাতে নেওয়া দুঃখজনক। গতকাল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, মহিবুল হক ওইদিন (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভা ও পরিচালনা পর্ষদের সভায় ছিলেন। ২০ নভেম্বরের বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, অফিসার্স ক্লাবের আইডিয়াটাই তাদের (বিএনপি) কাছে পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, অফিসার্স ক্লাব একটি প্রকাশ্য স্থান, এখানে সরকারি কর্মকর্তারা চা খান, আড্ডা দেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এসব কথা বলা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads