পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মুশাররফকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন দেশটির বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এই সাজা ঘোষণা করা হয়।
তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল এই মামলার শুনানি করেছেন। প্যানেলে ছিলেন- পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাই কোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মুশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সামরিক কর্মকর্তার এটাই প্রথম বিচারের রায়।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা নেন তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ। ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই মামলার রায় আদালতে ঝুলে ছিল।