ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ব্রিটিশ রানীর স্বামী ও ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের মৃতদেহ সৎকার অনুষ্ঠানের আগের সন্ধ্যায় কর্মকর্তাদের নিয়ে দু‘টি পার্টি আয়োজনের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানায় বিবিসি।
প্রথম জমায়েত হয়েছিল গতবছরের ১৬ এপ্রিল। দ্যা টেলিগ্রাফের রিপোর্টে বলা হয়, ভোর রাত পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলেছিল। অন্যদিকে, বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, শোক পালনের সময় এমন আয়োজন গভীর অনুতাপের।
বরিস জনসন শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়েই বিতর্কের মুখে পড়েননি। সম্প্রতি কোভিড সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে পানাহার পার্টি দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয় পার্টি আয়োজনে পানাহারের ব্যবস্থা ছিল, ছিল নাচের আয়োজন। তবে প্রধানমন্ত্রী এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
করোনা মহামারি সময়ে লকডাউনের মধ্যে পানাহার অনুষ্ঠান আয়োজন করার দায়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন’র পদত্যাগ চাইছেন তার দলের নেতারা। ক্ষমা চাওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলার কথা জানিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির স্কটল্যান্ডের নেতা ও হাউস অব কমন্সের সদস্য ডগলাস রোস। তিনি জানান, বরিসের সঙ্গে তার ‘শক্ত কথাবার্তা’ হয়েছে। তিনি বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন করা আর্জি নিয়ে ‘১৯২২ কমিটির’ কাছে লিখবেন।
তিনি আরও বলেন, যে ধরনের কাজ তিনি করেছেন, সেজন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
১৯২২ কমিটির কাছে যদি দলটির ৫৪ জন আইনসভার সদস্যরা চিঠি লেখেন, তবে বরিস প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে পারেন।