নওগাঁর রাণীনগরে স্বামী মাসুদ রানার পরকিয়ার বলি হলেন দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ শাকিলা আক্তার শ্যামলী (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সিম্বা গ্রামে সিম্বা-লোহাচ’ড়া রাস্তা সংলগ্ন মাসুদ রানার নিজ বাড়িতে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শ্যামলী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় উপজেলার সিম্বা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মাসুদ রানার। বেশকিছুদিন পূর্ব থেকে শ্যামলী জানতে পারে যে তার স্বামী মাসুদ রানা একাধিক মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে শুরু হয় পারিবারিক কলহের। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে মাসুদ রানা ঠিকঠাক মতো খোজখবর নিতো না শ্যামলী ও তার সন্তানদের। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য দুই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তা সমাধান করতে পারে নাই। ঘটনার বেশকিছুদিন আগে থেকে মাসুদ রানা নিরুদ্দেশ থাকলেও ঘটনার দিন বাড়িতে আসেন মাসুদ। আর পরকিয়ার প্রেম ও বিয়ে করার জেরেই মাসুদ রানা তার স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন।
শ্যামলী আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন মাসুদের পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার জন্যই সে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা পারিবারিক ভাবে এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু মাসুদকে পরকিয়া প্রেম থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি নাই। আর অবশেষে আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আমি এই হত্যাকারীর উপযুক্ত বিচার চাই।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন নিহত শ্যামলী আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও চিহ্নের দাগ দেখা গেছে। এ থেকে ধারনা হচ্ছে যে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মাসুদ রানা পলাতক থাকার কারণে এখনো তাকে আটক করা যায়নি তবে আমরা ঘাতক মাসুদ রানাকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।