রাজশাহীর পদ্মায় নৌকাডুবির ৬০ঘণ্টা পর পাওয়া গেছে নিখোঁজ কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার মৃতদেহ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ নগরীর শ্রীরামপুর ঘাট এলাকার দিকে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে মোট ৯জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
পূর্ণিমা রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানিয়েছেন, নববধূ সুইটির মরদেহ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে তাদের চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হচ্ছে। রাজশাহীর পদ্মা নদীতে শুক্রবার (৬ মার্চ) নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে কেবল সুইটির মরদেহই পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে সুইটির মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অন্য কেউ আর অবশিষ্ট রইল না। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয়জনে। আর ঘটনার পর বিভিন্নভাবে উদ্ধার হয়ে এসেছেন আরও ৩২ জন।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার কারণে নৌকা দুটি ডুবে যায়। মূলত মাছ ধরার নৌকা ছিল এগুলো। তাই নৌকায় কোনো লাইফ জ্যাকেটও ছিল না। চার থেকে পাঁচ জনের নৌকায় প্রায় ২০ জন করে যাত্রী নেয়ায় মাঝ নদীতে হালকা ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা দুটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকজন সাতরে তীরে উঠলেও কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা সহ নিখোঁজ হয় আটজন। এরপর ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, বিজিবি ও ঢাকা থেকে আসা বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
এর আগে শুক্রবার (৬মার্চ) সন্ধ্যায় পদ্মার চরে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে বর-নববধূসহ ৪১জন যাত্রী নিয়ে দুইটি নৌকা কনেপক্ষের বাড়িতে ফিরছিল। ফেরার পথে মহানগরীর শ্রীরামপুরে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর রুমনসহ ৩২জন শুক্রবার রাতেই জীবিত উদ্ধার হন। পরে নিহত ৮জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন।