রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইজিডব্লিউ অপারেটর নিয়োগ

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের লোগো

সংগৃহীত ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মুঠোফোন গ্রাহক সংগঠনের অভিযোগ

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইজিডব্লিউ অপারেটর নিয়োগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারই তাদের নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একের পর এক বিদেশি ফোনকল আনা-নেওয়ার ব্যবসা আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটর নিয়োগ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।

গত শনিবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারই তাদের নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়ে থাকে। টেলিকম খাতও এর ব্যতিক্রম নয়।

তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে আইজিডব্লিউ অপারেটর আছে ২৩টি। এরপরও বিটিআরসি নতুন করে আইজিডব্লিউ’র জন্য আবেদন আহ্বান করায় নতুন লাইসেন্স পেতে ইতোমধ্যে ১৪টি আবেদন জমা পড়েছে। যদি এ ১৪টি লাইসেন্স দেওয়া হয় তাহলে দেশে মোট আইজিডব্লিউ অপারেটরের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৭টিতে। এত বিপুলসংখ্যক অপারেটর থেকে গ্রাহকের লাভ কী? নাকি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা?

সংগঠনের সভাপতি বলেন, দেশে বিদ্যমান অপারেটরদের মধ্যে সেবার নিশ্চয়তা, জবাবদিহিতা কোনোটিই নেই। অর্থাৎ মুনাফাই বেশি। মোবাইল অপারেটরদের মোট বিনিয়োগের ৫ শতাংশও এদের বিনিয়োগ করতে হয় না। অথচ লাভের পরিমাণ প্রায় সমান। এসব অপারেটরের আবার জোট থাকায় এদের কোনো প্রতিযোগিতায় যেতে হয় না। এই জোটের নাম আইওএফ (আইজিডব্লিউ অপারেটর ফোরাম)। তবে এদের মধ্যেও ক্ষমতার ভারসাম্য করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, আইজিডব্লিউ অপারেটরদের মধ্যে বেশি লাভ করে ৭টি অপারেটর। যাদের ভাগ করা হয়েছে টিআর-১ ও টিআর-২ নামে। টিআর-১ অপারেটররা ১ টাকা আয় করলে টিআর-২ অপারেটররা লাভ করে ১ টাকা ৯০ পয়সা। এসব ভাগাভাগি যে রাজনৈতিক কারণে হয়েছে, তা এককথায় পরিষ্কার। জনগণের কল্যাণে রাজনীতি আজ মুনাফার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।

মহিউদ্দীন বলেন, বিপুলসংখ্যক আইজিডব্লিউ অপারেটরের তখনই প্রয়োজন ছিল যদি তাদের প্রতিযোগিতার কারণে গ্রাহকরা সুবিধা পেত। তা না করে জনগণের পকেট কাটার সব বন্দোবস্তই করে রাখা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি করি, আইজিডব্লিউ অপারেটরদের জোট ভেঙে দিয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কলরেট কমানো হোক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads