রাজধানীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

রাজধানীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তীব্র গরম ও পানি দূষণের ফলে ব্যাপক হারে এ প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষত কলেরা হাসপাতাল নামে খ্যাত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।

চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তন ও অধিক উষ্ণতা এবং পানি দূষণের ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। গরমের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, রাস্তার পাশে খোলা-বাসি খাবার খাওয়ায় ডায়রিয়ায় মানুষজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পানি ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধ করে খাওয়া এবং হাতসহ খাবার গ্রহণের পাত্র অর্থাৎ প্লেট, হাড়ি, চামচ সবকিছু ওই বিশুদ্ধ পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, রাজধানী ও এর আশপাশসহ দেশের ৮টি বিভাগের ৯৬টি থানায় ডায়রিয়া আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১৭টি জেলার হিসাব অনুসারে আইসিডিডিআরবিসহ ১ হাজার ৯৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া গত ৭ দিনে আইসিডিডিআরবি ছাড়া ৫ হাজার ৩০৯ জন এবং গত ১ মাসে ২২ হাজার ৪০৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আর এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আইসিডিডিআরবি বাদে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশের বাকি জেলাগুলোর হিসাব অধিদফতরের কাছে নেই। থাকলে এসব সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও জানা গেছে।

অধিদফতর সূত্রে আরো জানা গেছে, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে রোগীদের সহায়তায় ১৬৪৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানা গেছে।

এদিকে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় রোগীদের ব্যাপক চাপ। এ বিষয়ে হাসপাতালটির নার্সিং অফিসার ক্যাথরিন কোস্টা জানান, হাসপাতালে আমাদের শয্যা সংখ্যা আছে মোট ৩০০। কিন্তু বর্তমানে রোগীর চাপ অনেক বেশি।

আইসিডিডিআরবিতে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। সাধারণত পানিশূন্যতার কারণে শুরুতে জ্বর ও বমিভাব, এরপর পাতলা পায়খানা নিয়ে হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হয় উল্লেখ করে আইসিডিডিআরবির নিউট্রিশন ক্লিনিক্যাল সার্ভিস বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডা. মো. ইকবাল হোসেন জানান, রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যে সময়ে আসছে তার ৫ মিনিট পরে এলেই রোগীকে আর বাঁচানো যেত না। তাছাড়া জ্যামে পড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীকে এখানে আনার পথে মারা গেছে বলেও জানতে পেরেছি আমরা। মূলত তাদের পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে মারাত্মকভাবে। আর যে পানি পান করছেন তা রাস্তার পাশে বা দোকানের বা হোটেলে রাখা জারের পানি হওয়ার কারণে হুমকিটা বাড়ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads