রাজধানীতে বেপরোয়া গতির রাইড শেয়ারিং বাহনের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বেপরোয়া গতিতে দলবেঁধে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ছোটাছুটির ফলে এবং ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যাও অধিক হারে বেড়ে চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা গবেষকরা বলেছেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো মূলত ঘটে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বার বার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলার কারণে। হেলমেট ব্যবহার না করা ও নিম্নমানের হেলমেটের কারণে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। দেশে প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনায় সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্বের পাশাপাশি প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪টি। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কারণে পথচারীদেরও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। তেমনই একজন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের পাশের ক্রিসেন্ট লেক এলাকায় হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। রাস্তা পার হওয়ার সময় তাকে একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় তার ডান পা ভেঙেছে।
সচেতনমহল বলছে, রাজধানীতে কয়েক বছরে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এই খাতের কোম্পানিগুলোর নিবন্ধনের বাইরে অনেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করেন। চালকদের অধিকাংশই প্রশিক্ষিত নন। তারা ঠিকভাবে ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালান। যাত্রীদের জন্য নিম্নমানের হেলমেট রাখেন। এছাড়া ফাঁকফোকর অতিক্রম করে আগে যাওয়ার প্রবণতাও প্রবল। এসব কারণে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে। এখন যুবসমাজ সময় পেলেই বাইক নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। বন্ধুরা দলবেঁধে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাইক রাইড করেন। তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চালান। আবার এসব বাইক চালক খুব একটা দক্ষও নন। কারো কারো ডাইভিং লাইসেন্সও নেই। এর ফলে বাইক দুর্ঘটনায় তারা প্রাণ হারাচ্ছেন। প্রতিদিন লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। লোকাল বাস, সিএনজি অটোরিকশা, টেক্সিক্যাবসহ গণপরিবহনের প্রতিটি সেক্টরেই বল্গাহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন নগরবাসী।
তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের হাত ধরে সারা বিশ্বেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটে চলেছে। অ্যাপভিত্তিক ব্যবসাবাণিজ্য এবং রাইড শেয়ারিং তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তৃতির সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি বিভাগীয় শহরে ইতোমধ্যে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাও এবং উবার ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। গণপরিবহনের বেপরোয়া চালকদের মতো এসব অ্যাপভিত্তিক নেটওয়ার্কেও কিছু বেপরোয়া, অদক্ষ ও অপরাধপ্রবণ বাইকার ও গাড়িচালক ঢুকে পড়েছে। এদের কারণে পাঠাও এবং উবারের মতো গণপরিবহন নেটওয়ার্কিং এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেপরোয়া ও অদক্ষ বাইক চালনার শিকার হয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠাও চালক ও আরোহীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ও দুর্ঘটনা ঘটে। দেশের গণপরিবহন সেক্টরে একটি আমূল পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে মানুষ। আশা করা হচ্ছিল পাঠাও ও উবারের মতো অ্যাপভিত্তিক সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে দেশের গণপরিবহনের বেপরোয়া ও অদক্ষ চালকরাও এখন অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেক্টরে ঢুকে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে উবার, পাঠাওসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে বাইক, গাড়ি ও চালক রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আরো সতকর্তা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইসাথে শুধু নির্দিষ্ট সেবা সংস্থার অ্যাপ বা সফটওয়ার নেটওয়ার্কের ওপর ছেড়ে দিলেই হবে না। রেজিস্ট্রিকৃত সেবা সংস্থার আনফিট গাড়ি, অপেশাদার ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগেরও প্রয়োজনীয় নজরদারি থাকতে হবে।
বিশ্বের কোথাও গণপরিবহন ও টেক্সিক্যাব চালকদের এমন স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ যেন বিরল ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসেবে, মোটরসাইকেলের নিবন্ধন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। ২০১৭ সালে সারা দেশে তিন লাখ ২৫ হাজারের মতো নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে। পরের বছর এর সংখ্যা ছিল ৭০ হাজারের বেশি। এর একটি বিশাল সংখ্যা শুধু ঢাকাতেই। আবার একই সাথে অভিযোগের তিরও মোটরসাইকেল চালকদের দিকেই বেশি। যারা একটু আয়েশি, গাড়ির মালিক নন অথচ গাড়িতে চড়ার স্বাদ পেতে চান, গাড়ি কেনার ঝামেলায় যেতে চান না, অথবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে যেতে চান, এমন অনেক ক্ষেত্রেই শুধু স্মার্টফোনে কয়েকটি ক্লিক দিলেই মিনিট কয়েক পরই দোরগোড়ায় এসে হাজির হচ্ছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ি। এই সুবিধার কারণেই এতটা জনপ্রিয় হচ্ছে। রাইড শেয়ারিং অ্যাপের গাড়ি সেবাও মোটরসাইকেলের সেবার মতো এতটা না হলেও তাদের নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের কাছে যে অভিযোগগুলো আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো চালকের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি, পছন্দমতো জায়গায় যাত্রীকে তুলতে না চাওয়া অথবা ভাড়া নিয়ে বিবাদ। কিন্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগই সবচাইতে বেশি। দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য অনেকেই এখন অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরবাইকে চলাচল করেন। সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরবাইকে অনেক নারীকেও চলাচল করতে দেখা যায়। কিন্তু উবার-পাঠাওয়ের মোটরবাইক থেকে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, বাড়ছে হতাহতের ঘটনা। ফলে উবার-পাঠাওয়ের মোটরবাইক যাত্রীদের জন্য কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ চালকের ঢাকার রাস্তাঘাট পর্যাপ্ত জানাশোনা নেই। বাইক চালনায় চালকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেক চালকই ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত গতি নিয়ে বেপরোয়া চলাচল করেন। যে কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। আবার অনেক চালক মানিকগঞ্জ, সাভার কিংবা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে ভাড়ায় মোটরবাইক চালান, যাদের ঢাকার রাস্তাঘাট তেমন জানাশোনাও নেই। এদের অনেকেরই গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নেই। কিছু সংখ্যক অদক্ষ ও অপরাধপ্রবণ চালকের কারণে এ খাত আস্থাহীনতার সংকটে পড়লে এর সম্ভাবনা নস্যাৎ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও নজরদারি প্রয়োজন। আর কোনো পাঠাও চালকের বেপরোয়া বাইক চালনার শিকার হয়ে যেন কোনো আরোহী হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের বিশেষ সতকর্তা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো নিয়মকানুন না থাকার কারণে ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে যাতায়াত শুধু নারীদের জন্য নয়, সব যাত্রীর জন্যই অনিরাপদ। কেননা চালকদের অনেকের প্রশিক্ষণ নেই। তা ছাড়া অনেকে আবার রাজধানীর সড়ক সম্পর্কে যথেষ্ট পরিচিতও নয়। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। লাখ লাখ মোটরসাইকেলের কারণে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি সড়ক-ফুটপাতের যাত্রী ও পথচারীরা বেশিরভাগ সময়ই বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ছেন। সেবা ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, চালক এবং রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রী নিরাপত্তার ব্যাপারে উদাসীন। বেশিরভাগ মোটরসাইকেল রাইডার নিজে হেলমেট পরলেও যাত্রীর জন্য হেলমেট রাখছেন না। অনেক চালক নামমাত্র হেলমেট রাখলেও সেটা আর পরার যোগ্য থাকছে না। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। শুরু থেকে উবার-পাঠাওসহ অ্যাপভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালার বাইরে থাকলেও চলতি বছর নীতিমালা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মনীতির মধ্যে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-কে। এখনো পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি পাঠাও-উবারসহ রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো। যাত্রা শুরুর পর থেকে অ্যাপভিত্তিক এসব রাইড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রাহকরা এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। গত কয়েক বছরে প্রায় এক ডজনেরও বেশি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোমপানি গড়ে উঠেছে। স্যাম, মুভ, উবার, পাঠাও, সহজ.কম, চলো, বাহন, গাড়ি ভাড়া, ডাকো, ওভাই, আমার বাইক, শেয়ার মোটরসাইকেল, বিডিবাইক, ইজিয়ার ও রাইডার রাজধানীতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যাত্রী পরিবহন সেবা চালু করেছে। এর মধ্যে এখন পর্যস্ত সরকারি নীতিমালার আওতায় আসার জন্য মোট নয়টি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর কাছে আবেদন করেছে।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, এসব অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও এখনো পূর্ণ অনুমোদন পায়নি। তবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে খুব শিগগিরই পর্যায়ক্রমে অনুমোদন দেওয়া হবে গত জানুয়ারি মাসে রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই নীতিমালার ৮টি অনুচ্ছেদে ১১টি শর্তও দেয়া হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে-১. কোম্পানিকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে তালিকাভুক্তির সনদ নিতে হবে। ২. অ্যাপসের মালিককে টিআইএনধারী হতে হবে এবং নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। আর কোম্পানি হলে জয়েন্ট স্টক থেকে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। ৩. নিজস্ব অফিস থাকতে হবে। ৪. ঢাকায় সেবা দেওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০, চট্টগ্রামে ৫০টি এবং অন্য জেলা শহরে ২০টি গাড়ি থাকতে হবে। ৫. গাড়িগুলোর বিআরটিএ থেকে ট্যাক্স পরিশোধ ও রুট পারমিট আপডেট থাকতে হবে। ৬. মালিক ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি থাকতে হবে। ৭. স্ট্যান্ড ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। ৮. বিআরটিএ[র ওয়েবসাইটে এই সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মালিক ও চালকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে। ৯. তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনের সঙ্গে এক লাখ টাকাসহ অন্যান্য ফি জমা দিতে হবে। তালিকাভুক্তির মেয়াদ হবে তিন বছর। পরে এটি নবায়ন করতে হবে। নবায়ন ফি হবে ১০ হাজার টাকা। ১০. মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে অনলাইনে অভিযোগ করা যাবে। ১১. শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তালিকাভুক্তির সনদ বাতিলসহ প্রচলিত আইনে মামলা করা যাবে। কিন্তু্ত এখনো এটি চুড়ান্ত ও পূর্ণ অনুমোদন পায়নি। এ নীতিমালার চূড়ান্ত ও পূর্ণ অনুমোদনসহ কঠোর দেখভাল না করলে রাজধানীসহ সারা দেশে রাইড শেয়ারিং বাহনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। সড়কে দুর্ঘটনা না ঘটুক এবং প্রাণহানি না হোক-এটাই জাতির প্রত্যাশা।
লেখক :সৈ য় দ ফা রু ক হো সে ন
ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়