আমদানি-রফতানি

রপ্তানির চার খাতের জন্য ৩৪০ কোটি টাকার তহবিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও চামড়াশিল্প খাতের পণ্য উৎপাদনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে সরকার। এসব খাতের ২৫০ প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরের পল্টন টাওয়ারে অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম। ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম বলেন, আগামীকাল (আজ) বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চার কোটি মার্কিন ডলারের ওই তহবিল অবমুক্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তৈরি পোশাক খাতের বাইরে আলোচ্য চারটি খাতের নির্বাচিত শিল্প কারখানা আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। তহবিল থেকে অনুদান দিতে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের কারখানা থাকলেও এর বাইরে অন্যান্য খাতে এর অভাব রয়েছে। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আলোচ্য চারটি খাতের পণ্য রফতানিতে প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আলোচ্য খাতগুলোর পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষম হয়ে উঠতে পারবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

ওবায়দুল আজম আরো বলেন, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্প এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশেষত পানি শোধন ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপন, বিশেষায়িত ওয়্যারহাউস, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামো বাস্তবায়ন হবে পিআইএফআইসি অধীনে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক।

এ ছাড়া কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এ অনুদান রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করবে এবং উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়াতে অবদান রাখবে।

সভায় ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক-১ মো. আবু ছাঈদ জোয়ারদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক-৩ শেখ মো. আবদুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান, পিআইএফআইসি কর্মসূচির টিম লিডার সবুজ এ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads