যেসব কারণে নষ্ট হচ্ছে ফোনের চার্জ

সংগৃহীত : ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি

যেসব কারণে নষ্ট হচ্ছে ফোনের চার্জ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ মে, ২০১৯

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছেই। সঙ্গে বাড়ছে ফোনের চার্জ নিয়ে অভিযোগ। অনেকেই অভিযোগ করেন ফোন চার্জে বসালেই গরম হয়ে যায়। আবার ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। আজ জানাবো যে ভুলগুলোর জন্য ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়-

সব স্মার্টফোনেই অটো ব্রাইটনেস ফিচার আছে। কিন্তু এই ফিচারটি ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনমতো ব্রাইটনেস সেট করে নিন। কারণ অটো ব্রাইটনেস ফোনের আলোর ওপর নির্ভর করে। এতে ব্যাটারি বেশি শেষ হয়।

ফোনের চার্জ কখনো শেষ বা ফুল না করে সবসময় ২০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে চার্জ রাখা ভালো। কারণ এই দুটোই ব্যাটারির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আমরা ফোনের ব্রাউজারে বিভিন্ন ট্যাব খুলে রেখে দিই। এর ফলে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ওই অ্যাপ্লিকেশন চলতে থাকে। এভাবে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সেজন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশনের কাজ হয়ে গেলে ট্যাবটি বন্ধ করে দিন।

দরকার না পড়লে জিপিএস, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ খোলা রাখবেন না। ওয়াইফাই বিভিন্ন নেটওয়ার্ক খোঁজার মাধ্যমে অধিক চার্জ খায়। এসব কানেক্টিভিটি ব্যাটারি শেষ হওয়ার বড় কারণ।

ফোনের ভাইব্রেট মোড বন্ধ করে রাখুন। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। এছাড়া টাচ ভাইব্রেটও বন্ধ করে রাখুন।

স্ক্রিন টাইম লক কম করে রাখুন। অর্থাৎ আপনি যে মুহূর্তে ফোনটি ব্যবহার করেছেন না তখন যেন আপনার ফোন লক হয়ে যায়। আপনি ফোন ব্যবহার না করলে স্ক্রিন লক করে রাখুন।

ফোন অটো সিঙ্ক অ্যাকটিভ করে রাখলে সেটি অফ করুন। কারণ এর ফলে আপনার ফোনের সমস্ত ফোল্ডার ও ইমেল আপডেট করতে হবে, যা আপনার ব্যাটারিকে দ্রুত শেষ করে দেবে। এর জন্য যখন এই ফিচার প্রয়োজন তখন ব্যবহার করুন।

ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির সর্বাধিক খরচ হয়। আপনি যে মুহূর্তে ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন না সে সময় সেলুলার ডাটা বন্ধ করে রাখুন। এর ফলে ব্যাটারির ক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

ফোনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ যেমন- ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ইত্যাদিতে ভিডিও বা মিডিয়া অটোপ্লে এবং অটো ডাউনলোড বন্ধ রাখুন। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

যখন দূরে কোথাও যাচ্ছেন, চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব সময়ে ফোনটাকে ফ্লাইট মোডে রাখার। কারণ ভ্রমণের সময় বারবার নেটওয়ার্ক সার্চের ফলে ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ফ্লাইট মোডে ফোন রাখার কারণে স্মার্টফোন বারবার নেটওয়ার্ক অনুসন্ধান করতে পারবে না। এর ফলে প্রায় ৫ শতাংশ ব্যাটারির ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads