যুদ্ধাপরাধ ও তত্ত্বাবধায়ক বিষয় নেই বিএনপির ইশতেহারে

লোগো বিএনপি

রাজনীতি

যুদ্ধাপরাধ ও তত্ত্বাবধায়ক বিষয় নেই বিএনপির ইশতেহারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকলেও এই জোটের প্রধান দল বিএনপির ইশতেহারে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার এক দিন বাদে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি তাদের দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করে।

ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের ৩৫ দফার মধ্যে ৩২তম দফায় ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়েছিল, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দিন পর দলের যে ইশতেহার দিয়েছেন, তাতে জোটের ইশতেহারের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া গেলেও যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও চাকরি ক্ষেত্রে বয়সসীমা নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় যাওয়ার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করার পর তার বিরোধিতায় নামে বিএনপি। ওই বিচারে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, সাজা হয় আবদুল আলীমসহ কয়েকজনের।

বিএনপির জোটসঙ্গী দল জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মো. কামরুজ্জামান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সাজা হয়েছে গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের।

বিএনপি নেতারা এত দিন বলে আসছিলেন, যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারা ক্ষমতায় গেলে ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের’ বিচার করবেন। কিন্তু বিএনপির ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

বিএনপির ইশতেহারে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়েছে, সব মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ ঘোষণা করা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে।

নির্বাচনকালী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আট বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসা বিএনপি ক্ষমতায় ফিরলে এই সরকারে ফিরবে কি না, ইশতেহারে তা সুস্পষ্টভাবে জানায়নি। তাদের ঘোষিত ইশতেহারে বলা হয়, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পুুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য অতীতের সমস্যার আলোকে নিরূপণ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ-আলোচনা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads