যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবছর সেদেশে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগের প্রশাসন ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে কম ১৫ হাজারের যে সীমা দিয়েছিল, সেটা শরণার্থী সহায়ক জাতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। খবর : বিবিসি ও সিএনএন
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা অনেক ভোগান্তির পর উদ্বেগের সঙ্গে নতুন জীবন শুরুর অপেক্ষায় আছেন, তাদের মন থেকে দীর্ঘ দিনের সংশয়কে দূর করার জন্য আজকের এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো শরণার্থীদের অনেকেই নিজ দেশের সংঘাত-সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে তাদের অনেক পরীক্ষার পরও অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে বাইডেনের ঘোষণা তার আগের পরিকল্পনার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। তার সই করা কংগ্রসে পাঠানো এক স্মারকলিপিতে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থীকে অনুমোদন দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। এতে আফ্রিকা থেকে ২২ হাজার, পূর্ব এশিয়া থেকে ছয় হাজার, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া থেকে চার হাজার, লাতিন আমেরিকা এ ক্যারিবীয় এলাকার পাঁচ হাজার এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ১৩ হাজার শরণার্থীকে অনুমোদন দেওয়া কথা বলা হয়। এই বরাদ্দের বাইরেও আরো ১২ হাজার পাঁচশ শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হবে।
তবে সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া এই অর্থবছরেই এসব শরণার্থীকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, দুঃখজনক সত্য হচ্ছে ৬২ হাজার ৫০০ জনকে আমরা এবছরই নেওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। আমরা গত চার বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। এজন্য কিছু সময় লাগবে।
খবরে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন আগামী বছর শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে একলাখ ২৫ হাজার করতে চায়। সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এক লাখ ১০ হাজার শরণার্থী নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টে রেকর্ড পরিমাণ কমিয়ে ১৫ হাজারে নামিয়ে এনেছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে জো বাইডেন শরণার্থী সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও এপ্রিলে তিনিও ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করায় সমালোচনার মুখে পড়েন। শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো জানিয়েছে, সংখ্যা বাড়াতে বাইডেনের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় শরণার্থীদের বাতিল হয়ে যাওয়া কয়েকশ ফ্লাইট আবারো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমোদন পেয়েছে। পুনর্বাসন সংস্থা লুথারান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি সার্ভিস-এর সভাপতি ক্রিশ ওমারা ভিগনারাজা বলেন, বাইডেনের নতুন ঘোষণায় তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।





