যুক্তরাষ্ট্র থেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেলেন তাজিন শাদীদ

তাজিন শাদীদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রবাস

যুক্তরাষ্ট্র থেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেলেন তাজিন শাদীদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর, ২০১৮

স্পৃহা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিন শাদীদ ‘মাইক্রোসফট এলুমনি নেটওয়ার্ক ২০১৮ ইন্সপায়ার্ড লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। চমৎকার উদ্ভাবনমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

স্থানীয় আমেরিকানদের সঙ্গে কর্মরত ব্যক্তি মার্ক হলও একই সঙ্গে এই পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় মাইক্রোসফটে কর্মরত ছিলেন। এরিজন ভিত্তিক রেড ফেদার ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়েই তিনি এই পুরস্কার লাভের যোগ্যতা অর্জন করেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস নর্থ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তাজিন শাদীদ। ২০০৫ সালে যোগ দেন রেডমন্ড এ মাইক্রোসফট-এ। ওই প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বৎসর চাকরির পর ২০১৫ সালে অব্যাহতি নেন। এরপর বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পরিকল্পিত বাসস্থান ও তা বাস্তবায়নে কাজ করতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্পৃহা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।

মাইক্রোসফট এলুমনি নেটওয়র্কের সদস্যরা তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের ১ বছরের কমিউনিটি সাপোর্টের জন্য ১০,০০০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ২ জন করে ব্যক্তিকে এই ‘মাইক্রোসফট এলুমনি নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। সমাজে মঙ্গলজনক কাজে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে নেপথ্যে কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার।

তাজীন শাদীদ স্পৃহা ফাউন্ডেশন শুরু করেছিলেন মাইক্রোসফট-এ কাজ করার সময় থেকে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিয়ে তখন থেকেই তিনি ভাবতেন।

তাজীন শাদীদ এখন স্পৃহা ফাউন্ডেশনে পুরোপুরি সময় দিচ্ছেন। সংস্থাটির আর্থসামাজিক উন্নয়ন, স্পৃহা স্টুডিও এবং প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য উন্নয়নের কাজ করছেন তিনি।

স্পৃহা একটি বাংলা শব্দ যার অর্থ জোরালো উদ্দেশ্য এবং শক্তির সঙ্গে প্রত্যাশা। সংস্থাটি এ পর্যন্ত ১,২৫,০০০ হাজার মানুষকে সুবিধা দিয়ে আসছে। তাজীন শাদীদ বাংলাদেশের খবরকে বলেছেন ‘তার চিন্তাটা বড়’। এটা মাইক্রোসফট থেকে তিনি শিখেছেন এবং সেটা তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করেছে। তিনি এবং তার স্পৃহার চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।

একটা সময় স্পৃহা ছিল মোবাইল স্বাস্থ্য ক্লিনিক, যেখানে ছিল শুধু একজন ডাক্তার এবং অল্প পরিমাণের ওষুধপত্র। তাজীন বলেন, দুই বছরে দুটি এলাকায় মাইক্রোসফটের বন্ধুদের সহযোগিতায় ক্লিনিকটিতে ১০,০০০ হাজার থেকে ২০,০০০ হাজার মানুষকে সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

স্পৃহা এখনো সমাজ উন্নয়নের নানান উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘স্নেহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। যেখানে মানুষ শহুরে বাসস্থানে থেকেও সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন।

এ ছাড়া ‘প্রজ্ঞা ক্লাব’ যা সৃজনশীল নেতৃত্বমূলক প্রোগ্রাম করে থাকে। সেখানে মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা হয়। আবার ‘উদয় সেন্টার’ নামে রয়েছে শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র। এটি শিশুদের উন্নয়নেই কাজ করে।

তাজীন বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত কমিউনিটিতে কেউ ভাবতে পারেনি যে, মাত্র ৪ বছর সময়ের ব্যবধানে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে ও কলেজে যাবে। কমিউনিটির মানুষের কাছে এই উদ্যোগ ছিল অনেকটা স্বপ্নের মত। এ ছাড়া কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য সুবিধাভোগী এসব ছাত্র-ছাত্রীই অফিসার হিসেবে চাকরি করছেন। পাশাপাশি এখান থেকে লব্ধ জ্ঞানে তারা বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যও করছেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads