যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই নতুন অভিবাসন আইনের প্রস্তাব দিতে পারেন জো বাইডেন। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে দেশটিতে বসবাসরত ১ কোটি ১০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসী আট বছরের মধ্যে বৈধ হতে পারেন।
আর এর মধ্য দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি বদলে দিতে জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাইডেনের নতুন অভিবাসন আইনের প্রস্তাব বুধবারই কংগ্রেসে পাঠানো হবে। সেখানে মধ্য আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসনের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখার ওপর জোর দেওয়া হবে।
বাইডেন ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নতুন অভিবাসন নীতির কেন্দ্রে থাকবে আট বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনিবন্ধিত তবে যোগ্য অভিবাসীদের পাঁচ বছরের জন্য একটি অস্থায়ী অনুমতি দেওয়া হবে।
এর মধ্যে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি নিয়মিত কর দেওয়াসহ অন্যান্য শর্ত পূর্ণ করা হলে পাঁচ বছর পর তাদের গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে। এর তিন বছর পর তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অন্তত চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তারাই ওই আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
শৈশবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তারা ড্রিমার্স অ্যাক্টের আওতায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বা দুর্দশায় থাকা দেশ থেকে আসা নাগরিকরা টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস প্রোগ্রামের আওতায় এখনই গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে নতুন এই আইন বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
বুধবার বাইডেনের অভিষেকের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের মেয়াদ শেষ হবে।
ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নীতি বদলে ফেলা হয়েছিল, সেগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন দায়িত্বের প্রথম দিনই সাত মুসলিম দেশের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নতুন নির্বাহী আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বাইডেনের চিফ অব স্টাফ হতে যাওয়া গে রন ক্লেইন। অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের যে কাজ শুরু করেছিলেন, তা আর এগিয়ে নেওয়া হবে না প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। তার বদলে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি।
