পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী থিওডর রুজভেল্টে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আবেগঘন এক চিঠিতে রণতরীতে থাকা চার হাজারের বেশি ক্রুকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন।
রুজভেল্টের ক্রুদের বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে সানফ্রান্সিসকো ক্রনিকাল নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা। তবে রণতরীতে থাকা ঠিক কতজন নাবিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তা সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ গুয়ামে নোঙর করে রাখা হয়েছে রণতরীটি। এ দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে নাবিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গুয়ামে নোঙর করে আছে রণতরীটি।
রণতরীর ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কাছে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন নাবিকদের উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা এখন কোনো যুদ্ধে নেই। নাবিকরা মরতে চান না। এখনই যদি নাবিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সব নাবিককে আইসোলেশনে (অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন) থাকার বিকল্প নেই।
কিন্তু ক্যাপ্টেন চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রণতরীতে নাবিকদের জন্য আইসোলেশনে থাকার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কারণ সেখানে নাবিকদের থাকার জায়গার স্বল্পতা রয়েছে।
আক্রান্তদের দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে না পারলে নাবিকদের সবাই সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন। তিনি ৩০ মার্চ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব শিগগির থিওরি রুজভেল্টের নাবিকদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।