গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় গিয়ে দাফনের ছাব্বিশ দিন পর জামা কাপড় দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন বাবা আব্দুল মান্নান। অপহরণের দুই মাস আঠার দিন পরে ১ এপ্রিল দুপুরে পুলিশ অপহূত মিমি আক্তারের (২৮) গলিত লাশ উদ্ধার করেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার আব্দুল আলী নগরের নজির আহমেদের চারতলা বাড়ির নিচ তলার একটি বন্ধ কক্ষ থেকে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ৩ এপ্রিল চট্রগ্রাম আঞ্জুমানে মফিদের কাছে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দিয়ে দেন। এঘটনায় পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন পুলিশের এসআই এনামুল হক। তিনি দীর্ঘদিন নানা কৌশলে একটি ফেলে দেওয়া সিম চালু করে নিহতের বাবার নম্বরে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান। পরে গত ২৬ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রাম থেকে নিহত মিমি আক্তারের বাবা আব্দুল মান্নার পাহাড়তলী থানায় গিয়ে জামা কাপড় মোবাইল সিম দেখে নিজের মোবাইল নম্বর সেভ দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রামের জয়দেব চন্দ্র বর্মনের ছেলে প্রল্লাদ বর্মনকে পুলিশ খুঁজছেন।
নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান জানান, গত ১৮ জানুয়ারি মেয়ে মিমি আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিন একটি অপহরণ মামলা করলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কালিয়াকৈর থানার অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রায়হান জানান, অপহরণ মামলাটি চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রজু করা হয়। এরপর থেকেই অপহূতকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অপহরণকারীরা ঘন ঘন স্থান পরির্বতন করার কারণে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।