মৃত্যুদণ্ডের বিধান সত্ত্বেও যৌন হেনস্তা বাড়ছে ভারতে

সংগৃহীত ছবি

ভারত

মৃত্যুদণ্ডের বিধান সত্ত্বেও যৌন হেনস্তা বাড়ছে ভারতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

২০১৯ সালে যেখানে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৫৩ শতাংশ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতো, ২০২০ সালে বেড়ে সেই হার হয়েছে ৬৫ শতাংশে। গত বছর ৪০৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

ভারতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করেও কমানো যাচ্ছে না নিপীড়ন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ভারতে যত অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার ৬৫ শতাংশই যৌন হয়রানির। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৫৩.৩৯ শতাংশ।

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ডস ব্যুরোর ২০১৯ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়,দেশটিতে প্রতি ১৬ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। আর প্রতি ঘণ্টায় খুন হচ্ছেন এক জন।

দিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি ‘ডেথ পেনাল্টি ইন ইন্ডিয়া: অ্যানুয়াল স্ট্যাটিসটিকসে’ বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে যেখানে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৫৩ শতাংশ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতো, ২০২০ সালে বেড়ে সেই হার হয়েছে ৬৫ শতাংশে। গত বছর ৪০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

পরিখংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে মৃত্যুদণ্ডের হার ছিল ১৭.৬৪ শতাংশ। পরের বছর ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ৩৭.২৭ শতাংশে। ২০১৮ তে সেই হার বেড়ে ৪১.০৮ শতাংশ।

যৌন নির্যাতনের অপরাধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে উত্তর প্রদেশের আদালত। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ২০২০ সালে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরপরের স্থানে পশ্চিমবঙ্গ।

ভারতে নারীদের নিরাপত্তার ঘাটতি পুরনো। বিষয়টি সামনে আসে ২০১২ সালে দিল্লির একটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তরুণীর। এ ঘটনা প্রকাশ হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা ভারত। তীব্র আন্দোলনের মুখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে ভারত সরকার। সেই আইনে ২০২০ সালের মার্চে অভিযুক্ত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads